প্রতি রবিবার ভোরবেলা, কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষ ডিবিসি রোডের সোনার দোকানগুলোর আশেপাশের নর্দমা পরিষ্কার করেন। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য শুধুই নর্দমা পরিষ্কার করা নয়—বরং সেই আবর্জনার মধ্যে থেকে সোনার কণা সংগ্রহ করা। এই এলাকার অসংখ্য সোনার দোকানে প্রতিদিন অলঙ্কার তৈরির কাজ চলে। সেই কাজের সময় সোনার গুঁড়ো বা ছোট ছোট টুকরো অনেক সময় পড়ে যায় এবং নর্দমার জলে মিশে যায়।
advertisement
দিনের পর দিন এইভাবে জমতে থাকা সোনার কণা সংগ্রহ করাই এই মানুষগুলোর রুজি রোজগারের উৎস। তারা প্রথমে নর্দমার কাদা, ময়লা সংগ্রহ করেন, তারপর তা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে পরিষ্কার করেন। ধৈর্য আর পরিশ্রমের মাধ্যমে সেই আবর্জনা থেকেই বেরিয়ে আসে মূল্যবান সোনার টুকরো। সেই সোনা গলিয়ে ছোট ছোট দানা বানিয়ে বিক্রি করা হয়, যা দিয়ে তাদের সংসার চলে।
আরও পড়ুন-এবার পাকা খবর! কফিনে পড়ল শেষ পেরেক! অভিষেকের সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জনে এবার যা বললেন ঐশ্বর্য…
স্থানীয় সোনা ব্যবসায়ীরাও জানেন এই বিষয়টি। কেউ কেউ অল্প দামে সেই সোনা কিনেও নেন। তবে এই সংগ্রাহকদের জীবনযাপন সহজ নয়। শহরের সবচেয়ে নোংরা অংশে কাজ করে, দুর্গন্ধময় নর্দমায় নেমে, তারা জীবিকার সন্ধান করেন। তবু তারা হাল ছাড়েন না। তবে এই বাস্তবতা শুধু জলপাইগুড়ির নয়, ভারতের আরও কিছু জায়গায়ও এমন ঘটনা ঘটে। সভ্যতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা এই কঠিন জীবনের গল্প হয়তো খুব কম মানুষই জানেন।
সুরজিৎ দে