এমনই ঘটনা নকশালবাড়ির বিজয়নগর চা বাগানে। আজ এই চা বাগানে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনী প্রচারে আসেন জন বার্লা। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার। এমন ঘটনায় ফের অস্বস্তি বাড়লো গেরুয়া শিবিরের। তবে কে বা কারা এই পোস্টার এবং কালো পতাকা লাগিয়েছে, তা নিয়ে ধন্দে বিজেপিও। প্রচারে এসে এমন পোস্টার দেখে ক্ষুব্ধ হন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও। যদিও তিনি এ দিন সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে যান। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজিই হননি তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: বিদ্যাসাগর হায় হায়! পাস করানোর দাবিতে স্লোগান উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল পড়ুয়াদের
কিন্তু কেন এই ধরনের পোস্টার? লোকসভা এবং বিধানসভায় এই এলাকায় তো পদ্মফুলই ফুটেছে। তার পরেও কেন এই ধরনের পোস্টার? স্থানীয়রা বলছেন, এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। না হয়েছে পাকা রাস্তা, না পাকা বাড়ি। অভাব পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের৷ স্থানীয়দের দাবি মেনে সেতুও তৈরি হয়নি।
আরও পড়ুন: নির্দেশই সার, নাড্ডা রাজ্য ছাড়তেই ফের বাংলা ভাগের দাবিতে সরব বিজেপি বিধায়ক
অথচ প্রতি ভোটের আগে এলাকায় পৌঁছে যান নেতা, মন্ত্রীরা। মুখে হাজারো প্রতিশ্রুতির ঝুলি নিয়ে। তাই ক্ষোভ থেকেই এই ধরনের প্রতিবাদ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কেন না গতকালও একই ঘটনা ঘটে। লোহাসিং চা বাগানে দলীয় কর্মী, সমর্থকেরাই বিক্ষোভ দেখায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লাকে। দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার অবশ্য দাবি, 'জন বার্লার জনপ্রিয়তা যে বাড়ছে, এসব ঘটনাই তার প্রমাণ৷'
গতকাল লোহাসিং চা বাগানে প্রচার করতে গিয়ে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তারপর আবারও প্রতিবাদ, এবারে অন্য ভাবে। যা ভাবিয়ে তুলছে গেরুয়া শিবিরকে। নির্বাচনী প্রচারে এমন বাধার মুখে আগে কখোনও পড়তে হয়নি। এ দিন বাগডোগরার একাধিক জায়গায় দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে প্রচার সারেন রাজু বিস্তাও। প্রচারে ভাল সাড়া মিলেছে বলে দাবি দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার। সেই সঙ্গে তিনি এও জানান, মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে ভাল ফলই করবে বিজেপি।