প্রসঙ্গত দ্রুত জিটিএ-এর নির্বাচন করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গত মাসে কার্শিয়ং সফরে জিটিএ-এর নির্বাচন প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি মাসেই পাহাড় সফরে এসে সে বিষয়ে আলোচনাও করবেন মুখ্যমন্ত্রী। জিটিএ-এর নির্বাচন চাইছে বিমল গুরুং, অনীত থাপা, অজয় এডওয়ার্ডের দলও। অনীত থাপা স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘জিটিএ-এর নির্বাচন জরুরি। আলাদা রাজ্যের দাবি তো ১০০ বছরের বেশি পুরনো। নতুন করে পাহাড়ে অশান্তি চাই না।’’
advertisement
আরও পড়ুন : বক্সার পর জয়ন্তী, এবার কলকাতার পর্যটক দেখতে পেলেন 'সেই' পায়ের ছাপ!
বিমল গুরুংও পাহাড়ে শান্তি অটুট রাখারই পক্ষে। সম্প্রতি কলকাতা সফরে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে পাহাড়ের উন্নয়নের বিষয়ে তদ্বির করেছেন। এবারে পাল্টা চাপে ফেলতে পথে বিজেপির জোট সঙ্গী জিএনএলএফ-ও। রাজ্য জিটিএ ভোট করাতে চাইলে পথে নেমে আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জিএনএলএফ কালিম্পং ব্রাঞ্চের সভাপতি বুদ্ধ তামাং।
আরও পড়ুন : বক্সায় ফের মিলল 'রাজকীয়' দর্শন! জঙ্গলে বাড়ছে ট্র্যাপ-ক্যামের নজরদারি, কোন উদ্বেগে বনবস্তি?
জিটিএ-এর বিরোধিতায় শীতের শৈলশহর দার্জিলিংয়েও বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। শহরজুড়ে পোস্টারিং জিএনএলএফের। তাঁদের সাফ দাবি, অসাংবিধানিক জিটিএ চায় না পাহাড়। তাঁরা মনে করেন,পাহাড়ের দাবি, সাংবিধানিক উপায়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান। পাহাড়বাসী আদপে এই দুইয়ের মধ্যে কোনটা চায়, তা আগে পরিষ্কার হোক।
আরও পড়ুন : পাচারকারীদের ধরতে ক্রেতা সাজলেন বন দফতরের আধিকারিকরা, এল বড় সাফল্য
জিএনএলএফ নেত্রী বসুন্ধরা প্রধান জানান, ২০১১ সাল থেকেই আমরা জিটিএ-এর বিরোধিতা করছি। অন্যদিকে এদিনই পাহাড় নিয়ে গৌরব গগৈয়ের করা প্রশ্নের জবাবে সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, সংবিধানের আওতায় পাহাড়ের রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় করেই সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।