ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে ধূপগুড়ি ভেমটিয়া এলাকায়। সোহানা পারভিন নামে এক কিশোরী রাতের বেলা পাশেই কাকুর বাড়ি যাচ্ছিল। সে সময় আচমকা তার পায়ে কিছু কামড়েছে বলে অনুভব করেন। পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। তার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন আশপাশের লোকেরা। ছুটে আসেন তার কাকু মতিবুল হক। দেখা যায়, তার বাঁ পায়ের আঙুল থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পায়ে বাঁধন দেওয়া হয়। এরপর খোঁজাখুঁজি শুরু হয় কী কামড়েছে তা দেখতে। খোঁজাখুঁজির পর দেখতে পান একটি গোখরো সাপের বাচ্চা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তা দেখে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে বাড়ির লোকেদের মধ্যে।
advertisement
আরও পড়ুন: কেবল সৌন্দর্যবৃদ্ধি নয়, এবার বর্ষায় রক্ষাকবচ দিঘার মেরিন ড্রাইভ! কীভাবে জানেন কি
এর পর সাপের বাচ্চাটিকে লাঠি দিয়ে বোতলবন্দি করে নিয়ে আসা হয় ধূপগুড়ি হাসপাতালে। সাপ চিনতে না পেরে এই কাণ্ড। হাসপাতালে সাপ নিয়ে পৌঁছতেই কর্তব্যরত চিকিৎসকের চোখ কপালে উঠে যায়। চিকিৎসক দেখে বুঝতে পারেন এটি আসলে বিষধর কোবরা যাকে বাংলায় গোখরো সাপ বলা হয়।
আরও পড়ুন: বেড়ে চলেছে দাপট! ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আজ বৈঠক বসবে নবান্নে
সাপটিকে দেখার পরেই শুরু হয় চিকিৎসা শুরু হয়। বর্তমানে ধূপগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সেই কিশোরী। অসুস্থ কিশোরীর কাকা মতিবুল হক বলেন, ‘‘রাতের বেলা আমাদের বাড়িতে অন্ধকার দিয়ে এসে হেঁটে আসছিল সোহানা। সে সময় তার পায়ে কোন কিছু কামড়ানোর অনুভব করে। আলোতে গিয়ে দেখতে পাই পায়ের আঙুল দিয়ে রক্ত বেরচ্ছে। দেখতে পাওয়া যায় একটি সাপের বাচ্চা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তৎক্ষণাৎ লাঠির সাহায্যে সাপটিকে বোতলে ঢুকিয়ে সোজা রোগী নিয়ে আমরা হাসপাতালে আসি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সোহানা। সে এখন সুস্থ।’’
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার প্রণয় দাস বলেন, ‘‘শিশুটি এখন সুস্থ। সাপ-সহ লোকেরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাকে সাপে কামড়ানোর কোনও লক্ষণ এখনো দেখা যায়নি। রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। তাকে অবজার্ভেশনে রাখা হয়েছে। যে সাপটিকে তারা বোতল বন্দি করে নিয়ে এসেছে বিষাক্ত গোখরো সাপ।’’
রকি চৌধুরী