এই রসকদম নিয়ে কথিত আছে, সুলতান হুসেন শাহের আমলে শ্রীচৈতন্যদেব গৌড়ে এসেছিলেন। গৌড়ের কেলিকদম্ব গাছের তলায় চৈতন্যদেব দীক্ষা দিয়েছিলেন রূপ আর সনাতনকে। সেই কদম্ব গাছের নীচে বসেই রসকদম তৈরি করেছিলেন মিষ্টির কারিগররা। যদিও ঐতিহাসিকরা তা মানতে চান না। তবে বৈষ্ণবদের কাছে এজন্য রসকদম মিষ্টি অমৃতসমান। জেলার ব্যবসায়ী মহলের দাবি, জনপ্রিয়তায় এখনও অনেক এগিয়ে রয়েছে সুলতানি আমলের এই মিষ্টি। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির পাশাপাশি মালদহের এই রসকদম পাড়ি দিচ্ছে দেশ থেকে বিদেশে। কদম ফুলের মতো দেখতে এই মিষ্টির ভিতরে থাকে ছোট রসগোল্লা। তার উপরে থাকে ক্ষীরের মোটা প্রলেপ। সারা গায়ে জড়ানো থাকে পোস্ত মাখানো চিনি। যে হারে এই মিষ্টির জনপ্রিয়তা বাড়ছে তাতে জিআই তকমা থাকলে ব্যবসায়ীদের অনেকটাই লাভ হবে। মালদহ ম্যাংগো মার্চেন্টের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘‘সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা দু’ বছর আগে রসকদমের জিআই এর জন্য আবেদন করেছি। আশা করছি শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে পরবর্তীতে। জিআই পেলে ঐতিহ্যবাহী জেলার এই মিষ্টির সুনাম আরও বৃদ্ধি হবে লাভবান হবেন ব্যবসায়ীরা।’’
advertisement
আরও পড়ুন : কোন ভিটামিনের অভাবে ঘামে জবজবে হয় শরীর? টেকা দায় হয় দুর্গন্ধে? জানুন ঘেমো গন্ধ থেকে বাঁচতে কী কী খাবেন
ব্যবসায়ীরা খুব সহজেই বিক্রি করতে পারবেন এই মিষ্টি । জিআই তকমা থাকলে জনপ্রিয়তার সঙ্গে খ্যাতি বাড়বে এই মিষ্টির। গত দু’ বছর আগে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরে রসকদমের জিআই তকমার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। শীঘ্রই রসগোল্লার পর মালদহের রসকদম জিআই তকমা পাবে বলে আশাবাদী জেলার মিষ্টি ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ।