শনিবার ঘুম স্টেশনে উৎসবের সূচনা করেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনশুল গুপ্তা। কোভিড, লকডাউনে কার্যত দমবন্ধের মতো অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভ্রমণপিপাসুদের কাছে। অবশেষে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। শৈলশহর দার্জিলিংয়েও বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা। সে কথা মাথায় রেখেই এ বার "ঘুম ফেস্টিভালের" আয়োজন। বিশ্ব-পর্যটনের আঙিনায় দার্জিলিংকে তুলে ধরাই উৎসবের মূলমন্ত্র।
advertisement
আরও পড়ুন : কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ উপভোগ করতে এ বার পাকদণ্ডি বেয়ে হিমকন্যায় দার্জিলিং থেকে কার্সিয়ং
কেন ঘুম স্টেশনকে বেছে নেওয়া? দেশের সর্বোচ্চ স্টেশন ঘুম। দার্জিলিংয়ে ওঠার পথেই বাতাসিয়ালুপের পরই ঘুম স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে রঙিন আলোয়।
ইতিমধ্যেই দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে এবারেই বাড়ানো হয়েছে "জয় রাইডের" সংখ্যা। চালু করা হয়েছে দার্জিলিং ও কার্শিয়ংয়ের মধ্যে নতুন "হিমকন্যা" টয়ট্রেন পরিষেবা। পর্যটকদের জন্য কার্শিয়ং ও মহানদী স্টেশনের মধ্যে "রেড পান্ডা" পরিষেবাও চালু করা হয়েছে। সমতলে শিলিগুড়ি জংশন ও রংটংয়ের মধ্যে চলছে "জঙ্গল টি সাফারি"।
আরও পড়ুন : নিউজ18 বাংলার খবরের জের, গাছ পাচার রুখতে পদক্ষেপ প্রশাসন ও বনদফতরের
পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে আরও বেশ কিছু পরিষেবা চালুর ভাবনা DHR এর।ঘুম ফেস্টিভালে কী কী থাকছে? সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে পাহাড়ের বিভিন্ন জনজাতি নিজেদের সংস্কৃতি মেলে ধরতে পারবে। এমনকি, পাহাড়ি ব্যান্ডেরও আয়োজন থাকছে। স্টেশনের বাইরে দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তাতেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় হস্তশিল্পীদের তৈরি নানা ঘর সাজানোর উপকরণের স্টলও থাকছে। শীতের দুপুরে পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের মন ভরাতে তৈরি ঘুম! থাকছে রকমারি পাহাড়িয়া খাবারের স্টল!
আরও পড়ুন : নেতা-মন্ত্রী নন, পুজো উদ্ধোধন কৃষকদের হাতে! চমকে দিল মালদহ
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনশুল গুপ্তা জানান, পর্যটনের প্রসারে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েও এগিয়ে। পর্যটকদের টানতেই এই উৎসবের আয়োজন। প্রথম দিন ঘুম-এ আসা পর্যটকরাও খুশি। হস্তশিল্পীরাও নিজেদের তৈরি উপকরণের সম্ভার মেলে ধরতে পারায় খুশি। তাঁদের দাবি, বছরে যেন একবার এই ধরনের উৎসব হয়।