ভাঙনের জেরে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক । নদীর খুব কাছেই রয়েছে শতাধিক বাড়ি । ভাঙন আতঙ্কে শতাধিক পরিবার । কয়েক বছর আগেও এলাকা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ছিল গঙ্গার অবস্থান । এরপর ক্রমেই গঙ্গা ভিটেমাটি গিলে খাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা । অবিলম্বে এলাকায় ভাঙন রোধের কাজ শুরুর দাবি । নদী ভাঙন থেকে কালী মন্দির বাঁচানোর জন্যও আর্জি গ্রামবাসীর ।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর ছুটির জের, অমিল শিক্ষক-অধ্যাপক, ফের পিছোচ্ছে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া!
এদিকে শুধু ফসলি জমি বা কালী মন্দির নয় , ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি । ইতিমধ্যেই ৫ - ৬ টি কাঁচা - পাকা বাড়ি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে । নদী যেভাবে লোকালয়ের দিকে এগিয়ে আসছে তাতে চলতি মরশুমে ভাঙনের মুখে হারিয়ে যেতে পারে গোটা পাড়া । এমনটাই আতঙ্ক ও আশঙ্কা স্থানীয়দের ।গোলাপ মন্ডল পাড়ার বাসিন্দা অর্জুন মন্ডল বলেন, গত দুদিন ধরে এলাকায় তীব্র ভাঙন চলছে । কিন্তু, এখনো ভাঙন রোধের কোনও কাজই শুরু করা হয়নি । হেলদোল নেই সেচ দফতর বা প্রশাসনের ।
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ায় 'আদিম মানুষের' গুহার হদিশ, বিস্ময়কর ঘটনা বাংলায়! অপার রহস্যের সন্ধান
অবিলম্বে ভাঙন রোধের কাজ শুরু না হলে আমাদের ভীষণ সমস্যায় পড়তে হবে। ভিটেমাটি সবই যাবে নদীতে। সর্বস্ব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।
বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মালদা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি চন্দনা সরকার বলেন, বৈষ্ণবনগরের একাধিক জায়গাতে ভাঙন সমস্যা চলছে। রাজ্য সরকার ও সেচ দফতর যত সম্ভব ভাঙন রোধের কাজ করছেন। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রে ফান্ডের সমস্যা রয়েছে। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় সাহায্য করছে না। গোলাপ মন্ডল পাড়াতেও কিভাবে ভাঙন ঠেকানো যায় নিশ্চয়ই তা সেচ দফতর ও প্রশাসন দেখবে।
