বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরে আত্রেয়ী নদীতে ডুব দিয়ে পুণ্য অর্জন করতে চাইছেন বহু পুণ্যার্থী। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে আত্রেয়ী নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত গঙ্গাসাগর গ্রাম। নামের মাহাত্ম্য অনুসারে আজ থেকে প্রায় ৪২ বছর আগে গ্রামের প্রবীণরা এখানে গঙ্গাসাগরের মত কপিলমুনির মন্দির গড়ে তোলেন, পাশাপাশি শুরু হয় নদীতে স্নান করে মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতি। ধীরে ধীরে গঙ্গাসাগর গ্রামের এই পুণ্য স্নানের কথা ছড়িয়ে পড়ে জেলা থেকে জেলার বাইরে।
advertisement
আরও পড়ুন : মহাকুম্ভে পুণ্যের টানে গঙ্গাসাগরে সাধুসন্তদের সংখ্যা কিছুটা কম? ফাঁকা আখড়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশ্ন
গঙ্গাসাগর গ্রামে আত্রেয়ী নদীতে স্নান করতে আসা পুণ্যার্থীরা জানান,”গঙ্গাসাগর অনেক দূরের রাস্তা, তাই বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরে স্নান করেই সমান পুণ্য অর্জন করা যায়। আবার অনেকেই আর্থিক কারণে রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্তের গঙ্গাসাগরে না গিয়ে উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গাসাগর গ্রামেই পুণ্যস্নান সেরে নিতে চান।” প্রতিবছর বালুরঘাট-সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা এবং জেলা বাইরের বহু মানুষের সমাগম হয়ে থাকে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে। তিনদিনের মেলা বসে গঙ্গাসাগর গ্রামে। চলে মন্দির ঘিরে নাম সংকীর্তন।