গত মার্চে বাঘিনী "শীলা" পাঁচ শাবকের জন্ম দেয়। দিনকয়েকের মধ্যে এক শাবকের মৃত্যু হয়। বাকি চার ডোরাকাটা শাবক মাতৃস্নেহে বেড়ে উঠছে। আপাতত ওদের ঠিকানা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের এনক্লোজারে। সেখানেই নিজেদের মধ্যে খুনসুঁটি আর খেলায় মত্ত তারা।
গরমের দাবদাহ থেকে বাঁচতে জলকেলিও করছে শাবকরা। তবে আপাতত ওদের পর্যটকদের দুয়ারে আনা হচ্ছে না। সবে তো মাস চারেক বয়স। কিন্তু ওদের লম্ফঝম্প দেখলে তা বোঝার উপায় নেই।
advertisement
আরও পড়ুন- হেলমেট না পরেই বাইকে, ট্র্যাফিক পুলিশের হাতে আটক ২ পুলিশকর্মী
সাফারি পার্কের নতুন চার অতিথির মধ্যে দুটো ছেলে ও দুটো মেয়ে। যাদের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে পর্যটকেরা। এনক্লোজারেরই এক পাশ থেকে অন্য পাশে ছুটে বেড়াচ্ছে, খেলছে আপন মনে। নিজেদের মধ্যে খুনসুঁটিতে ব্যস্ত। আবার কখোনো মায়ের পিঠে চেপে বসছে।
ওদের আবদারও মেটাচ্ছে মা "শীলা"! গত ১০ মার্চ শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে পাঁচ শাবকের জন্ম দেয় রয়েল বেঙ্গল টাইগার "শীলা"। ১৪ দিনের মাথায় এক শাবকের মৃত্যু হয়। তবে বাকি চার শাবক দিব্ব্যি আছে।
আপাতত বন্দী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের এনক্লোজারে। মায়ের আদরে মাখামাখি। এনক্লোজারই এখন চার শাবকের কাছে সব কিছু। প্রতিনিয়ত ওদের দেখভাল করছে বনকর্মীরা। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় নজরদারি রয়েছে। এখন একটু গরম পড়ায় কিছুটা অস্বস্তিতে।
স্বস্তি পেতে জল নিয়েই মাতোয়ারা। এর আগে দু'দফায় ৬ শাবকের জন্ম দিয়েছিল " শীলা"। তার মধ্যে এক শাবকের মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে বেঙ্গল সাফারি পার্কে এখন রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১।
আরও পড়ুন- পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাব, আমন ধানে ক্ষতির সম্ভাবনা মালদহে
এর মধ্যে একটি আবার সাদা ডোরা কাটা রয়েছে। যা বন কর্তাদের কাছে যথেষ্টই ভাল খবর। সাদা ডোরা কাটা রয়েল বেঙ্গল টাইগার তো পর্যটকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ। নয়া চার অতিথিদের দেখতে সাফারি পার্কের সোশ্যাল মিডিয়া পেজেই নজর পর্যটকদের।