ফরেস্ট রেঞ্জারদের পরিস্থিতি যে কতোটা করুণ তা ক্ষোভের আকারে ফুটে উঠল তাঁদেরই গলায়। বিদেশে ফরেস্ট রেঞ্জারদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ, আধুনিক প্রযুক্তির সামগ্রী দিয়ে আরও বেশি দক্ষ করে তোলা হয়েছে। কিন্তু বাংলার ফরেস্ট রেঞ্জারদের পরিস্থিতি বড়ই দুর্বিষহ। অত্যাধুনিক সামগ্রী তো নেই’ই, উল্টে চোরাশিকার কিংবা পাচারকারীদের রুখতে অস্ত্র ও ন্যুনতম গাড়ি পর্যন্ত নেই। ফরেস্ট রেঞ্জারের কাজে জীবনে যথেষ্ট ঝুঁকি আছে। অনেক সময় বন্যপ্রাণী কিংবা পাচারকারী বা অনেক সময় চোরাশিকারদের আক্রমণে ফরেস্ট রেঞ্জারদের আহত বা নিহতের মত ঘটনাও ঘটেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ছেলেদের মতই কেরিয়ার গড়বে মেয়েরাও, অভিভাবকদের সচেতন করতে পুলিশের পদক্ষেপ
এরাজ্যেই গত এক বছরে বন্যপ্রাণীর হামলায় গ্রামবাসীদের বাঁচাতে দুজন বনকর্মীর মৃত্যু ও নয়জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ওইসব ঘটনার পরে রেঞ্জারদের বীরত্বের জন্য কেন্দ্র বা রাজ্যের তরফে আলাদা কোনও স্বীকৃতি বা পদক এখনও দেওয়া হয়নি।
এই বিষয়ে ফরেস্ট রেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তরুণ কুমার মিশ্র বলেন, সত্যি বলতে আমরা ভগবানের ভরসায় কাজ করি। বিদেশে যেভাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেখানে আমাদের রাজ্যে সেরকম কোনও ব্যবস্থাই নেই। পাশাপাশি বীরত্বের জন্য আজ পর্যন্ত ফরেস্ট রেঞ্জার ভা অন্য কোনও বন কর্মীদের পদক নেই। আমরা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে ওই দুই বিষয়েই দাবি রেখেছি।
রেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোজ কুমার ছেত্রী বলেন, আমাদের রেঞ্জারদের উপযুক্ত সামগ্রী দেওয়া হয় না। অনেক রেঞ্জার ও বন কর্মীরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে নিজেদের প্রাণ দিয়েছে। যে কারণে আমরা সবসময় উন্নত প্রযুক্তি ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বা প্রাণ দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করা বন কর্মীদের জন্য আলাদা পদক ও স্বীকৃতির দাবি রেখেছি।
অনির্বাণ রায়