আরও পড়ুন: করোনার পর প্রথম সার্কাসের আসর শহরে, তাপ-উত্তাপ নেই শিলিগুড়িবাসীর
ব্রিটিশ আমলে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন দেবী চৌধুরানি ও ভবানী পাঠক। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত প্রতি বছর বৈকুন্ঠপুরের গভীর জঙ্গলে এই পুজো হয়েছে আসছে। প্রথমে এই পুজোকে ঠুনঠুনির পুজো বলা হতো। তবে বর্তমানে একে বনদুর্গা মায়ের পুজো বলে ডাকা হয়। প্রথা মেনে আগামী ২৬ ডিসেম্বর বনদুর্গার পুজো হবে। তবে দিনে নয়, রীতি মেনে রাতেই হবে এই পুজো। এই বিষয়ে বনদুর্গা পুজো কমিটির তরফে বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের ডাবগ্রাম রেঞ্জের আধিকারিককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য করোনার সময় সরকারি নির্দেশে রাতের বদলে দিনে পুজো করতে বাধ্য হয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। তবে এবার তাঁরা পুরনো নিয়মে ফিরতে চাইলেও সরকারি ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি। ফলে দিনেই সারতে হবে ঐতিহ্যবাহী বনদুর্গার পুজো।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বনবাসীদের রক্ষার স্বার্থেই এই পুজার প্রচলন করেছিল ওই এলাকার বনবাসীরা। পুজোর দিন সন্ধে নামলে বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলে নামে ভক্তদের ঢল।সারারাত্রি চলে মায়ের পুজো। দুরদুরান্ত থেকে ভক্তরা গাড়ি, বাইক, পায়ে হেঁটে জঙ্গল পথে হাজির ন পুজোর স্থানে। তবে এবার সব পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিল বিন দফতর। বন্যপ্রানীর হামলা হতে পারে, তাই রাতে পুজোর ছারপত্র দেওয়া হয়নি। যদিও উদ্যোক্তারা এখনই হাল ছাড়তে নারাজ।
অনির্বাণ রায়