ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটায়৷ মঙ্গলবার সকালে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ৪৫ হাজার গ্যালনের ওই জলাধার পরিষ্কার করতে ওঠেন বিশ্বজিৎ দাস, পবিত্র দাস,পাপাই বালা এবং বিশ্বজিৎ সরকার নামে চার যুবক৷ কিন্তু জলাধারের মাথায় উঠেই তাঁরা দেখেন সেখানে একাধিক মৌমাছির চাক রয়েছে৷ সবমিলিয়ে ৯টি মৌমাছির চাক ছিল জলাধারের মাথায়৷ মুহূর্তের মধ্যে ওই চার যুবককে আক্রমণ করে মৌমাছির দল৷ ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছির আক্রমণ সামলে নীচেও নামতে পারেননি ওই চারজন৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'লেউড়ি' খেয়েছেন? চিনির রসে ভরপুর স্বাদ! জিভে দিলেই গলে জল! রইল খোঁজ
শেষ পর্যন্ত মৌমাছির দলকে বাগে আনতে খবর যায় দমকলে৷ কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি৷ উল্টে চার যুবককে উদ্ধার করতে গিয়ে এক দমকল কর্মীও মৌমাছির আক্রমণের শিকার হন৷ মৌমাছির কামড় থেকে বাঁচতে ওই চার যুবক এবং দমকল কর্মী জলাধারের ভিতরে আশ্রয় নেন৷ কিন্তু সেখানেও ঢুকে পড়ে মৌমাছির দল৷
পরিস্থিতি এতটাই কঠিন হয়ে পড়ে যে জলাধারের উপরে থাকা পাঁচজনকে উদ্ধার করা নিয়েই সংশয় দেখা দেয়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন নাগরাকাটার বিডিও বিপুল কুমার মণ্ডলও৷
আরও পড়ুন: বেসরকারি ল’কলেজ, ফার্মাসি কলেজেও কোটির 'লেনদেন'! লাভ কুড়িয়েছেন পার্থ? আদালতে বিরাট দাবি ইডির
শেষ পর্যন্ত মুশকিল আসানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন স্থানীয় ৩ ব্যক্তি। কাজটি তাঁরা পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রথমে সংশয়ে ছিলেন সরকারিকর্তারাও। তিনজনই প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে দাবি করেন, তাঁদের কিছুটা রসুন এবং ব্লিচিং পাউডার দিতে হবে৷ দাবি মতো রসুন এবং ব্লিচিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়৷ প্রথমে ৩ জনই নিজেরা কিছু কাঁচা রসুন খেয়ে নেন। এর পর দমকলের দেওয়া সুরক্ষা বস্ত্রের উপরে ব্লিচিং পাউডার জলে মিশিয়ে ভাল মতো স্প্রে করে নিতেও দেখা যায় তাঁদের। তার পর জলাধারের সিঁড়ি বেয়ে নিশ্চিন্তে উপরে উঠে যান তিন জন৷ দেখা যায়, ওই তিনজনের কাউকেই কামড়াচ্ছে না মৌমাছি৷
জলাধারের উপরে গিয়ে আটকে থাকা পাঁচজনকে রসুন খাইয়ে দেন ওই তিনজন৷ তাঁদের শরীরের পোশাকেও ব্লিচিং জল স্প্রে করে দেওয়া হয়৷ এর পর একে একে নীচে নামিয়ে আনা হয়৷ হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন প্রশাসনিক কর্তারা৷ সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন,অবিলম্বে ওই মৌমাছির চাক ভাঙার ব্যবস্থা করে হবে৷ তার পরেই হবে জলাধার পরিষ্কারের কাজ৷ মৌমাছির চাক ভাঙতে প্রয়োজনে বন দফতরেরও সাহায্য নেওয়া হবে৷