উল্লেখ্য বার্ধক্যজনিত রোগ ভোগের পর প্রয়াত হন রায়গঞ্জের উকিল পাড়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মী নারায়ণচন্দ্র দাশ। ২০২৪ সালে নারায়ণ বাবু দেহ দানের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু এখানকার মেডিক্যাল কলেজে এই ঘটনা প্রথম।
স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুর পর কিভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে৷ তবে তা নিয়ে সামরিক জটিলতা তৈরি হয়। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের সহযোগিতায় প্রয়াত নারায়ণ বাবুর দেহ মেডিক্যাল কলেজে দান করেন পরিবারের সদস্যরা।
advertisement
উল্লেখ্য, চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা পড়ুয়া চিকিৎসকদের শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি মুমূর্ষ রোগীর জীবন বাঁচাতে মরণোত্তর দেহ দান এর গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু কুসংস্কার ভয় এবং হয়রানির কারণে অনেক পরিবারই এই কাজে সম্মতি দেন না। অথচ মরণোত্তর দেহ দান এর ক্ষেত্রে পরিবার এর সম্মতি আবশ্যিক।
শোকের তীব্র আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে বৃহত্তর মানবতার স্বার্থে প্রয়াত নারায়ণ বাবুর পরিবারে এই ভূমিকা মরণোত্তর দেহ দান এর ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কোন কোন ক্ষেত্রে দেহদান করা যায় না?যদি অস্বাভাবিক কারণে মৃত্যু হয় এবং মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত করা হয়, তাহলে দেহদান করার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। এছাড়াও যে সংস্থা দেহ গ্রহণ করছে তাঁদের কোনও শর্ত আছে কি না? সেটাও দেখে নিতে হয়।
কী কী অঙ্গ দান করা যায়? গোটা দেহ দান তো করাই যায়। এছাড়াও আলাদা ভাবে হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনি, লিভার, অস্থি, অস্থিমজ্জা, চোখ, ত্বক, হাড়, হার্টের ভালভ, ব্লাড ভেসেল, টেন্ডন, ইত্যাদিও দান করা যায়।
তবে মনে রাখবেন কারও মৃত্যুর পর মাত্র ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর হার্ট অন্য কারও শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায়। তার বেশি নয়। ফুসফুসের ক্ষেত্রে সেই সময় ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা। লিভার ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা, কিডনি ২৪ থেকে ৪৬ ঘণ্টার মধ্যে।
আপনিও কি মৃত্যুর পর অপনার দেহদান করতে চান? যাঁরা মরণোত্তর দেহদানে ইচ্ছুক, তাঁরা যে কোনও মেডিক্যাল কলেজে দেহদান করতে পারেন। এই বিষয়ে পূর্ণ তথ্য পাবেন ভারত সরকারের এই ওয়েবসাইটে https://www.organindia.org/overviews/know-organ-donation/ এছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থা। তার মধ্যে অন্যতম, www.organandbodydonation.com এবং আরও একটি ওয়েবসাইট www.dehdan.org , https://www.ipgmer.gov.in/pdf/BodyDonation
পিয়া গুপ্তা





