এই প্রথম পুরাতন মালদহের কৃষক ভাস্কর রাজবংশী সাদা শসা চাষ করছেন। এই বছর শীতের মরশুমে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করেছেন। মালদহের মাটিতে এই প্রজাতির শসার ফলন ভাল হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনি বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন। ভাস্কর রাজবংশী বলেন, সাধারণত এই শসা গুজরাটে চাষ হয়। এই প্রথম মালদহে আমি চাষ শুরু করেছি। বাজারে ভাল চাহিদা আছে।
advertisement
আরও পড়ুন- মৃত্যুর ঠিক আগেই ‘মলত্যাগ’ করে মানুষ, কেন জানেন…? চমকপ্রদ ‘সত্যিটা’ জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
সাদা রঙের হওয়ায় খোসা না ছাড়িয়েও খাওয়া সম্ভব এই শসা। তাই সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদাও রয়েছে। এমনকি এই শসা একটু বেশি মিঠা। মূলত রংয়ের জন্যই এই শসার চাহিদা বাজারে। সাধারণ শসা সবুজ হওয়ায় অনেক সময় ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদা থাকে না কিন্তু এই সাদা রঙের শসা দেখতে সুন্দর তাই অনেকেই এই শসা আগ্রহ করে কিনছেন। সাধারণ শসার থেকে বাজারে এই শসার দাম একটু বেশি। মালদহ জেলাতেও গুজরাটের এই প্রজাতির শসা ব্যাপক হারে চাষের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কৃষক ভাস্কর রাজবংশী। সাধারণ শসার মতোই এই শসা চাষের পদ্ধতি। কোন ফারাক নেই। তাই সহজেই যে কোন কৃষক এই শসা চাষ করতে পারবেন। জেলা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, সব ভাবে সাদা রঙের এই শসা। মালদহে কিছু কৃষক চাষ করছেন। সাধারণ শসার মতোই এই শসা খাওয়া যায়।
যে কোন মরশুমেই চাষ করা যাবে। পর্যাপ্ত পরিবারে জল সেচের ব্যবস্থা ও সঠিক সময়ে কীটনাশক সার প্রয়োগ করতে পারলেই এই শসা চাষ করা যাবে। সাধারণ শসার থেকে এই শসার ফলন বেশি। তাই এই শসা চাষ করতে পারলে লাভবান হবেন কৃষকেরা।
হরষিত সিংহ