এই ফুচকার দোকানের কর্ণধার দোকানের ইলা দে সরকার জানান, “আট মাস আগে আচমকাই একদিন তাঁর স্বামী মারা যান শারীরিক অসুস্থতার জন্য। তাঁর এক ছেলে রয়েছে। সে এখন পড়াশোনা করছে ক্লাস নাইনে। তাই সংসারের হাল সামলাতে এবং আর্থিক যোগান করতে এই ফুচকার দোকান শুরু করেন তিনি। সংসারের কাজ সামলে তারপর তিনি এই ফুচকার দোকান শুরু করেন। তাঁর দোকানে ১০ টাকায় ৭টা ফুচকা বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে দই ফুচকা ২০ টাকা মূল্যে ৬পিসের একটি প্লেট। বহু মানুষ তাঁর দোকানে আসছেন ফুচকা খেতে।”
advertisement
দোকানে ফুচকা খেতে আসা দুই গ্রাহক সৌমিত্র দাস এবং সঞ্জয় ঘোষ জানান, “জেলায় বহু ফুচকার দোকান থাকলেও এই দোকানের ফুচকা বেশ অনেকটাই ভাল মানের। এছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে এই দোকানের ফুচকা। ফলে ফুচকার স্বাদ অনেকটাই ভাল। স্বল্প দামে অনেকটাই ফুচকা পাওয়া যাচ্ছে এখানে। ফলে স্কুল পড়ুয়াদের পাশাপশি পথ চলতি মানুষেরা এই ফুচকার দোকানে ভিড় করছেন। এছাড়াও দই ফুচকা পাওয়া যাচ্ছে এই দোকানের মধ্যে স্বল্প দামেই। তাই দোকানের কদর বাড়তে শুরু করেছে এলাকার মানুষের মধ্যে।”
দীর্ঘ সাত মাস আগে সংসারের হাল সামলাতে শুরু করেছিলেন এই ফুচকার দোকান। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা বেড়েছে এই দোকানের। বর্তমানে ধীরে ধীরে এই দোকানের পরিচিত বেড়েছে গোটা এলাকায়। দুপুর থেকে শুরু করে সন্ধ্যে পর্যন্ত এই মহিলার ফুচকার দোকানে ভিড় লেগেই থাকে। সবচেয়ে বেশি স্কুল পড়ুয়ারা এই দোকানের ফুচকা খেতে দারুণ পছন্দ করে।
Sarthak Pandit