শীতকালে বাগানে কাজ হয় না। তারপর দীর্ঘদিন এই বাগানটি বন্ধ থাকায় ঝোপঝাড়ে ভরে রয়েছে এলাকা। বিকেল হলেই বাগানের নানান স্থানে একটি প্রাণীকে দেখতে পান বাসিন্দারা। সম্প্রতি বাগানের রাস্তা হয়ে গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কালচিনির রায়মাটাং চা বাগানের এক বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ভারত ছাড়াও অনেক দেশের নোট ছাপা হয় ভারতের টাঁকশালে, কোন কোন দেশের জানলে চমকে উঠবেন
advertisement
মাঝ রাস্তায় আচমকা সেই প্রাণীটির সঙ্গে তার গাড়ির সংঘর্ষে দুর্ঘটনার শিকার হয় গাড়িটি। তিনি যে টুকু দেখতে পেয়েছিলেন তাতে তিনি জানিয়েছিলেন প্রাণীটির উচ্চতা ৪ ফুটের মত, গায়ের রঙ হলুদ। তবে, তাতে কালো ছাপ রয়েছে না ডোরাকাটা দাগ রয়েছে তা তিনি দেখতে পারেননি, কারণ ততক্ষনে প্রাণীটি জঙ্গলে চলে গিয়েছে।এখনও খোঁজ মেলেনি প্রাণীটির।
এছাড়া এলাকাবাসীদের থেকে শোনা যায় প্রায়ই বাসিন্দাদের গবাদি পশু নিয়ে যাচ্ছে কোনও হিংস্র প্রাণী বলে অভিযোগ। বনদফতরের কাছে খাঁচা বসানোর দাবি জানিয়েছে রায়মাটাং চা বাগানের বাসিন্দাদের।এ বিষয়ে রায়মাটাং চা বাগানের বাসিন্দা কমল কুজুর বলেন, “রাতের বেলা কালচিনি থেকে রায়মাটাং চা বাগানে ফেরার পথ হয়ে ওঠে বিভীষিকা। কখন যে প্রাণীটি সামনে চলে আসবে কেউ তা জানে না। আমার গাড়ির সামনে আচমকা চলে এসেছিল।”
এই বিষয়ে বনদফতরের এক আধিকারিক জানান, ইতিমধ্যেই বাসিন্দাদের দাবি মেনে গত ২৫ জানুয়ারি বাগানে খাঁচা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।তবে এখনও কোনও প্রাণী খাঁচাবন্দি হয়নি।