বীজতলা তৈরি নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষিকর্তারা। এই সমস্ত পরামর্শ মেনে বীজতলা তৈরি করতে পারলে কোনও সমস্যা থাকবে না ধান চাষে। এতে ধানগাছে কীট-পতঙ্গের উপদ্রব কম হবে বা রোগ কম হবে। এইজন্য আগে অবশ্যই বীজ শোধন করে বীজতলায় ফেলতে হবে। অধিকাংশ কৃষকেরাই এখনও বীজ শোধন করছেন না। ফলে ধানের ফলন ভাল হচ্ছে না। ফলন ভাল পেতে হলে সবার প্রথমে বীজ শোধন করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: হাসপাতালে আবর্জনার পাহাড়! রোগীকে নিয়ে এসে দূষণের শিকার হচ্ছেন পরিজনরা
উঁচু জায়গায় বীজতলা তৈরি করতে হবে। জল যেন না জমে থাকে। নিকাশি ব্যবস্থা ভাল রাখতে হবে বীজতলার। বীজতলার চওড়া কম রাখতে গেলে সহজেই কৃষকেরা সঠিক পরিচর্যা করতে পারবেন। মাঝেমধ্যে হাত নিড়ানি দিয়ে আগাছা মুক্ত করতে হবে বীজতলার। এইভাবে বীজতলার পরিচর্যা করতে পারলে ভাল চারা গাছ তৈরি হবে। যদি কোনও কারণে চারা লাল হয়ে যায়, সেই সময় সার, কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। মালদহ জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক দিবানাথ মজুমদার বলেন, চারা গাছ বীজতলা থেকে তোলার সাত দিন আগে অবশ্যই দানায় বিষ দিতে হবে। এর ফলে ধান রোপন করার পর রোগ বা পোকার আক্রমণ কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ দানাবিষ চারা গাছের শিকড়ে থেকে যায়। কুড়ি দিন পর্যন্ত এই বিষের জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকে।
ধান রোপন করার সময় রোগের আক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই চারা তোলার সাত দিন আগে দানা বিষ প্রয়োগ করলে এই সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।চলতি মরশুমে মালদহ জেলায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। গত বছর জেলায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছিল। গত বছর ফলন হয়েছিল ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। মালদহ জেলায় মূলত হবিবপুর, বামনগোলা, গাজোল ও পুরাতন মালদহ ব্লকে সবচেয়ে বেশি আমন ধান চাষ হয়। এছাড়াও জেলার অন্যান্য ব্লকগুলিতেও ধান চাষ হয়ে থাকে। বর্ষার মরশুমের শুরুতেই ধানের বীজতলা তৈরি হচ্ছে। এই সময়টা ধানের ভাল ফলন পাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বীজতলা ভাল হলে ভাল ফলন পাওয়ার পথটা অনেকটাই সুগম হয়ে যায়।
হরষিত সিংহ