হামলায় মেয়ের দাদা ও কাকিমা আহত হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে হবিবপুর থানার পুলিশ। যদিও মারধর, হামলার অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের। গোলমাল থামাতে গিয়েছিলেন পাল্টা দাবি অভিযুক্ত নেতার। ঘটনা জেরে চাঞ্চল্য হবিবপুরের আইহোতে।জানাগিয়েছে, গতকাল আরও তিন বান্ধবীর সঙ্গে আইহোর নামোটোলা এলাকায় সরস্বতী পুজো ও মেলা দেখতে যায় মাধ্যমিক পড়ুয়া পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: মহিলা পুরোহিত দিয়েই সরস্বতী পুজো! নজির গড়ল ঝাড়গ্রামের 'এই' স্কুল
অভিযোগ, আইহো বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রীকে সরস্বতী পুজো দেখতে গিয়ে নামোটোলা এলাকার স্থানীয় কয়েকজন যুবকের ইভটিজিং এর শিকার হতে হয়। নানান ইঙ্গিতপূর্ণ ও আপত্তিকর কথাবার্তা বলা হয় ওই ছাত্রীকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ছাত্রীর দাদা এলাকায় এলে বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে দাদাকে জানাই ওই ছাত্রী। এরপর বোনের ইভটিজিং এর প্রতিবাদ জানাই ওই যুবক। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে দলবল পাকিয়ে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করতে আসা যুবককে মারধর করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের নিকট আত্মীয়। একে বোনের ইভটিজিং, এর ওপর প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে কোনওরকমে এলাকা থেকে পালিয়ে আসে ওই যুবক।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতেই রাজ্যে ফের অমিত শাহ! পঞ্চায়েত ভোটের আগে জোড়া সভার ইঙ্গিত কোথায় কোথায়?
এরপর ঘটনার প্রতিবাদ করতে এলাকায় যান মেয়ের বাড়ির অন্যান্য পুরুষ ও মহিলা সদস্যরা। এ নিয়ে দু 'পক্ষের মধ্যে গোলমাল ও বচসা বাঁধে। আক্রান্তদের দাবি, এই সময় হামলাকারীদের পক্ষ নেন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য নিমাই সিংহ। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত সদস্য নিজেও মেয়ের বাড়ির লোকজন এমনকি মহিলাদেরও মারধর করেন বলে অভিযোগ। এনিয়ে অভিযোগ জানিয়ে হবিবপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে মেয়ের পরিবার।
যদিও হামলার ও মারধরের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য নিমাই সিংহ। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, আমরা পুজো ও মেলার আয়োজন করি, সেখানে গন্ডগোল তৈরি হয়েছিল। আমরা সকলকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করি। পরক্ষণে মেয়ের বাড়ির লোকজন আবার লোকজন নিয়ে এসে গোলমালের চেষ্টা করেন। কাউকে মারা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।