আরও পড়ুনঃ পুজোর মুখে রাজ্যের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র দিঘায় ভয়াবহ আগুন, দেখুন
শুধুমাত্র সরকারিভাবে নয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সমাজ সেবীরা এগিয়ে এসেছেন ভুতনির বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের সাহায্যার্থে।বন্যায় একেবারে নাজেহাল পরিস্থিতি মানিকচক ব্লকের ভুতনির তিনটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের। গত কয়েকদিন ধরে গঙ্গা নদীর জলস্তর কমতে শুরু করেছে। কিন্তু বন্যা কবলিত এলাকাগুলি থেকে জল বেরোচ্ছে না। তাই গ্রামের বাসিন্দারা দক্ষিণ চন্ডিপুরের বাঁধ কেটে লোকালয় থেকে বন্যার জল বার করতে তৎপর হয়েছে। ফলে কিছু কিছু এলাকার জল কমেছে। কিন্তু এখনও অধিকাংশ গ্রাম জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এখনো জলবন্দি হয়ে রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। মতিম শেখ বলেন, চাষের জমি গবাদি পশু ছেড়ে অন্যত্র যেতে পারছি না। এখান থেকে অন্যত্র ছড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছে প্রশাসন। কিন্তু জিনিসপত্র ছেড়ে গেলেই চুরি হয়ে যাবে।
advertisement
এই সমস্ত মানুষগুলিকে নিয়মিত সরকারিভাবে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিয়মিত প্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা করছে অসহায় জলবন্দি মানুষগুলির কাছে। চারিদিকে জলমগ্ন হয়ে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকায় একমাত্র ভরসা এখন এই সমস্ত বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার। চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন যাপন করতে হচ্ছে বন্যা কবলিতদের। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয় স্বাভাবিক কতদিন হবে তা এখনও অজানা সকলের কাছেই। কিছু বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের মানিকচকের মথুরাপুরে ত্রান শিবিরে রাখা হয়েছে। গবাদিপশু সহ অন্যান্য নানান সামগ্রী নিয়ে অন্যত্র না যেতে পেরে এখনও জলমগ্ন এলাকাতে রয়েছেন বহু মানুষ। সেখানে থেকেই কোনরকমে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
হরষিত সিংহ