এই যন্ত্রটিকে মূলত নিয়ন্ত্রণ করবে আধুনিক এআই টেকনোলজি। যদি হাতি রেল লাইনের মধ্যে চলে আসে তাহলে মেসেজ বন দফতর এবং রেল দফতরের কাছে পৌঁছে যাবে। ডিভাইসটির মধ্যে ক্যামেরা বসানো থাকবে এবং কোন ধরনের বন্যপ্রাণ রেললাইনের পথে এসেছে তা পৌঁছে যাবে ছবির মধ্যে দিয়ে, এমনটাই জানালেন উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি।
advertisement
আধুনিক পদ্ধতির এই ডিভাইস তৈরি করেছে স্ন্যাপ নামে পরিবেশ সংগঠন। যার মধ্যে ক্যামেরা রয়েছে। যদি কোনও ব্যক্তি এই ডিভাইসকে চুরি করতে যায় তার ডিটেলস চলে আসবে ডিভাইসের মধ্য ছবির মধ্যে দিয়ে পুরো বিষয় জানতে পারবে দুই দফতর। চাপড়ামারি জঙ্গলে বসানো হয়েছে এই ডিভাইস।
রেলের ধাক্কায় বেশি হাতির মৃত্যু হয়েছে এই এলাকায়। স্ন্যাপের ডিরেক্টর কৌস্তভ চক্রবর্তী জানান এই ডিভাইস বানাতে আর্থিক সহযোগিতা করেছে বিদেশি পরিবেশ সংস্থা। এই বিদেশি সংস্থার সদস্য সঙ্গীতা আইয়ার জানান, এক গর্ভবতী হাতির মর্মান্তিক মৃত্যু তাঁদের নাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকেই তাঁরা শুরু করেন চিন্তাভাবনা এই জাতীয় ডিভাইস তৈরির যার মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে যাবে বন দফতরে এবং রেলের চালকের কাছে যে ট্রেন লাইনে হাতি চলে এসেছে।
শুধুমাত্র হাতিই নয় এই যন্ত্রর মাধ্যমে জানা যাবে বাইসন বা বড় হরিণ রেল ট্র্যাক পার করলেও। আধুনিক এই যন্ত্রই এখন রেলের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু ঠেকাতে আশার আলো দেখাচ্ছে বন দফতর ও পরিবেশ সংগঠনগুলিকে।