গরম পড়তেই যখন তখন ডাক পড়ছে সাপ উদ্ধারের জন্য। তাই ডুয়ার্স নেচার এন্ড স্নেক লাভার্স অর্গানাইজেশনের সদস্যদের খাওয়া দাওয়া বন্ধ প্রায়। ধূপগুড়ি শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গত এক মাসে ধরা পরে ৮ টি বিষধর গোখরো সাপ।
আরও পড়ুন- ট্যুইট নীতিন গড়করির, দার্জিলিং মোড়ের যানজট থেকে মুক্তি পেতে চলেছে শিলিগুড়ি
advertisement
সাপ গুলি কারো শোওয়ার ঘরে, কারও রান্না ঘরে, নয়তো গোডাউনের ভিতর আশ্রয় নিয়েছিল। সেই সাপগুলিকে এদিন ধূপগুড়ির পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ডুয়ার্স নেচার এন্ড স্নেক লাভার্স অর্গানাইজেশনের সদস্যরা মরাঘাট রেঞ্জের আধিকারিক রাজকুমার পালের হাতে তুলে দেন।
বন কর্মীরা সাপ গুলি কে নিয়ে গয়েরকাটা মরাঘাট রেঞ্জের অন্তর্গত সাউথ মরাঘাট জঙ্গলে সুস্থ অবস্থায় ছেড়ে দেন। মরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জার রাজকুমার পাল বলেন, ধূপগুড়ি শহর এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আটটি বড় বিষধর গোখরা সাপ উদ্ধার করেছিলেন সর্প বিশারদ মিন্টু চৌধুরী এবং পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ডুয়ার্স নেচার এন্ড স্নেক লাভার্স অর্গানাইজেশন এর সদস্যরা।
আরও পড়ুন- রক্তাক্ত চা বাগান! লুপ্তপ্রায় জনজাতি মহিষাসুরের বংশধরের রহস্য মৃত্যু
সর্প বিশারদ মিন্টু চৌধুরী বলেন, সাপ গুলিকে ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কারো বাড়ি, কারো গোডাউন থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। সাপ গুলিকে আজ মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গরমকালের সাপের উপদ্রব একটু বেড়ে যায়। সেই কারণে মানুষের কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত তা বলে দেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান সাধারণত সাপ সহজে আক্রমণ করে না। আতঙ্কিত হয়ে পড়লে অথবা খাবার সন্ধান করা সময় সামনে যদি কেউ পড়ে যায় তখন সে সেই মানুষটিকে তার শিকার ভেবে ছোবল মারে। এই কারণে অন্ধকার রাস্তায় বেরোলে বা অন্ধকার জায়গায় গেলে লাইট নিয়ে চলাফেরা করা উচিত। গরমকালে মানুষকে সাবধান থাকতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।