এ বছর বঙ্গে বর্ষা প্রবেশের পর থেকেই টানা বৃষ্টিতে নাকাল হয়েছে উত্তরবঙ্গবাসী, পাহাড়ের বাসিন্দারা। কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছিল পাহাড়। ক্রমেই ছন্দে ফিরছে সেই সব এলাকাগুলি। কিন্তু আচমকাই থমকে রিসর্ট বুকিং। জানা যাচ্ছে, ডুয়ার্সে এখনও ফাঁকা ৫০ শতাংশ হোটেল-রিসর্ট। ট্যুর ব্যবসায়ীদের কথায়, অনেকেই শিয়ালদহ বা হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট কেটে রেখেছেন। কিন্তু, পাহাড় নাকি ডুয়ার্স কোথায় যাবেন, তা ভেবে উঠতে পারছেন না নানাবিধ চিন্তার কারণে। পাশাপাশি তারা এও জানান যে, উত্তরবঙ্গে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বেশিরভাগেরই পাহাড়ের দিকেই ঝোঁক বেশি। তবে, সেই সময় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থা কেমন থাকবে সবটাই নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর।
advertisement
অন্যদিকে, লাটাগুড়ি, মূর্তি, গেরুমারার পর্যটন ব্যবসায়ীদের কথায়, অনেকেই ভুটানে ঘুরতে যাওয়ার বা আসার পথে এক-দু’দিন ডুয়ার্স ঢুঁ মারেন। কিন্তু এখানেও সমস্যা। ভুটানে পর্যটকদের দৈনিক মাথা পিছু ১২০০ টাকা করে ফি ধার্য হওয়ায় অনেকে সেখান থেকেও মুখ ফেরাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই ডুয়ার্সে কমছে পর্যটকদের আগমন। পাশাপাশি, পুজোয় গরুমারায় সরকারি বাংলোয় থাকার জন্য অনলাইনে বুকিং করা যাচ্ছে না। বনদফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এখন জঙ্গল বন্ধ।
১৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খোলার পর অনলাইন বুকিং করতে পারবেন পর্যটকরা। যদিও পর্যটকদের প্রশ্ন, ১৬ সেপ্টেম্বর বুকিং খুললে কী করে পুজোয় ঘুরতে যাওয়া সম্ভব? তাই সব মিলিয়ে ভ্রমণপ্রেমীরা এখনও রয়েছেন দ্বিধাদ্বন্দে। কিন্তু ১৬ ই সেপ্টেম্বরের পর থেকে জঙ্গল ভ্রমণ করা যাবে এমনটাই খবর বনদফতর সূত্রে। তাই পাহাড় না ডুয়ার্স এই দ্বিধা ভুলে বুকিং করে ফেলুন চট করে।