আরও পড়ুনঃ কিলবিল করছে কালো কালো পোকা…বোটকা’ দুর্গন্ধ! চাল, চালের ড্রাম আর…জাস্ট এই ক’টা জিনিস রাখুন
জমিদার বাড়ির উত্তরসূরী রাকেশ কুমার রায় জানান, “এই জমিদার বাড়ির পুজো বর্তমানে ২২৫ বছরে পদার্পণ করেছে। তাদের পূর্বপুরুষ অবোধ নারায়ণ রায় সর্বপ্রথমে ব্যবসার ক্ষেত্রে এখানে এসেছিলেন। ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে তৎকালীন প্রায় তিন হাজার টাকায় জমিদারীত্ব ক্রয় করেন। পরবর্তীতে তার জমিদারী এলাকার ব্যবসা মঙ্গলের উদ্দেশ্যে তিনজন সাধুর পরামর্শে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। সেই থেকে ২২৫ বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে।”
advertisement
শুধু তাই নয় পূর্বপুরুষদের নিয়মনিষ্ঠা মেনে দূর্গা পুজার আয়োজন হয় এই রায় জমিদার বাড়িতে। সপ্তমীর দিন পুনর্ভবা নদী থেকে জল ভরে পুজোর সূচনা হয়। সেই সময় শূন্যে ফায়ার করা হয় পাঁচ রাউন্ড গুলি। মূলত এই পুজো এবং ভোগ রান্নার সমস্ত দায়িত্বে থাকেন উত্তরপ্রদেশের মৈথিলী ব্রাহ্মণরা। দশমীর দিন পুনর্ভবা নদীতেই হয় বিসর্জন। এখনও এই পুজো উপলক্ষে চারদিন থাকে পাত পেড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সীমান্তবর্তী গ্রামে এই পুজোতে অংশগ্রহণ করতে আসেন বহু মানুষজন। এই বছরও পুজো উপলক্ষে চলছে প্রস্তুতি। সেজে উঠছে জমিদার বাড়ি। চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। প্রতীক্ষার আর কিছু দিন। অপেক্ষায় তিলাসন এলাকার বাসিন্দারা।