‘স্বর্ণযুগের গান রেডিও ছিল প্রাণ’- এই ভাবনাতেই এবারের মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, একসময় রেডিওর মাধ্যমেই মানুষ গান শুনতেন, খবর জানতেন, খেলাধুলার আনন্দ ভাগ করে নিতেন। শহরের মানুষকে ফের সেই সোনালি দিনগুলি অনুভব করানোর জন্যই এবার ফিরে আসছে এক বিশাল রেডিও।
আরও পড়ুনঃ বাসের নীচে যুবকের মৃতদেহ! র*ক্তে ভেজা রাস্তা, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে…! নিউটাউনে হাড়হিম করা ঘটনা
advertisement
মণ্ডপের সামনেই চোখে পড়বে এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের অন্যতম বড় আকর্ষণ- ৩৫ ফুট উঁচু রেডিও। ভিতরে ঢুকলে দর্শকরা দেখতে পাবেন একাধিক পুরনো রেডিও, যেখানে ভেসে আসবে গান, খবর ও খেলার সম্প্রচার। শুধু তাই নয়, মণ্ডপে থাকছে গ্রামোফোন সহ নানা পুরনো সংগ্রহ। সেগুলি এক ঝলকে ফিরিয়ে দেবে অতীতের বহু স্মৃতি।
পুজোর দিনগুলিতে এখানে নানা সামাজিক উদ্যোগের আয়োজন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা। আকাশবাণী এবং রেডিও সম্প্রচারের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা চতুর্থীর দিন মণ্ডপের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও অতিথিরা।
ডাকের সাজে মণ্ডপের প্রতিমা সাজানো হবে। ঝলমলে আলোয় সেজে উঠবে পুরো এলাকা। উদ্যোক্তাদের আশা, এই আলোকসজ্জা ও রেডিওর থিম একসঙ্গে শহরের দর্শনার্থীদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে। পুজো কমিটির সদস্য রানা সাহা জানান, “আমরা চাই এবারের থিম শহরের মানুষের মনে দাগ কাটুক। পুরনো দিনের রেডিওর সুর আবারও যেন ফিরিয়ে আনে হারানো আবেগ।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সবমিলিয়ে, আলোর ঝলকানি ও ঢাকের তালে শহরের প্রাণকেন্দ্রে এবার বাজবে সেই রেডিও, যা একদিন ছিল মানুষের আনন্দ আর আবেগের সঙ্গী। সুকান্তনগরের ৩৫ ফুট রেডিও কেবল মণ্ডপসজ্জাই নয়, বরং শিলিগুড়ির মানুষের কাছে এক নস্ট্যালজিয়ার সেতুবন্ধন হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।





