পুজোর ক্লাবের কর্মকর্তা সুধাংশু সাহা জানান, “চলতি বছরে এই ক্লাবের পুজো ১৩তম বর্ষে পদার্পণ করল। ১৩ বছর ধরে একেকবার একেক রকম থিমের আয়োজন করা হয়েছিল এই ক্লাবের পুজোয়। চলতি বছরে মাত্র নয় লক্ষ টাকার মোট বাজেটে তৈরি করা হয়েছে গোটা থিম। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের বিষয়টিকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই থিমের মধ্যে। যে বিষয়টি প্রতিটি দর্শনার্থীর মন আকর্ষণ করছে। সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই গোটা থিমের মণ্ডপ। দুর্গা মূর্তি তৈরি করা হয়েছে থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই।”
advertisement
আরও পড়ুনAlipurduar News: রঙিন পোশাকে নিজস্ব বাদ্য যন্ত্র নিয়ে ফুলপাতি শোভাযাত্রা নেপালি সম্প্রদায়ের
পুজো মণ্ডপ দেখতে আসা দুই দর্শনার্থী রেহানা সাহা ও প্রতিকা বর্মন জানান, “বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকে। তবে শহরাঞ্চলের দিকে বেশ কিছু বিষয় দেখতে পাওয়া যায় না। যেই বিষয়গুলি আজও গ্রামের দিকে দেখতে পাওয়া যায়। আর এই বিষয়গুলিকে নিয়েই থিম তৈরি করা হয়েছে। যেখানে সমস্ত বিষয়ে চোখের সামনে সুন্দরভাবে মূর্তি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই থিম প্রত্যেকটি মানুষের পছন্দ হচ্ছে। বহু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন এই থিম উপভোগ করতে। আগামী দিনেও এই ক্লাবের পুজো আরও ভাল মানের হবে এমনটাই প্রত্যাশা প্রত্যেক দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের।”
বর্তমান সময়ের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বাঙালির বারো মাসের ১৩ পার্বণের বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানে না। কারণ, বেশ কিছু পুজো পার্বণ শহরাঞ্চল থেকে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যা আজও গ্রাম্য এলাকাগুলিতে বিদ্যমান। তাইতো এই থিম প্রতিটি মানুষের এত পছন্দের হয়ে উঠেছে স্বল্প বাজেটের মধ্যে তৈরি হয়েও।
Sarthak Pandit





