বিশেষ করে এপ্রিল ও মে মাসে শুকনো পাতায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। দেশজুড়েই এই সমস্যা দেখা যায়। বনদফতরের তদন্তে উঠে এসেছে, অনেকসময় পথচলতি মানুষ অসাবধানতাবশত বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরো ফেলে দেওয়ায় আগুন ধরে যায়।
আরও পড়ুন: তোর্সা নদীর পাশে প্রাচীন মন্দিরে বাসন্তী পুজোয় ভক্ত সমাগম, আলোর রোশনাইয়ে ভাসছে মেলা
advertisement
এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে চোরাশিকারীদের কারণে আগুন লাগতে পারে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বনদফতর বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, পাশাপাশি স্থানীয়দের সচেতন করার প্রচার চালানো হচ্ছে।
তবে শুধুমাত্র নজরদারি বাড়ালেই সমস্যার সমাধান হবে না, তাই এবার প্রযুক্তির সাহায্যে আরও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে।কিভাবে কাজ করবে এই অগ্নি শনাক্তকারী যন্ত্র? জঙ্গলে কোথাও ধোঁয়া দেখা দিলেই, সিগন্যাল পাঠাবে এই যন্ত্র এবং বনকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে সতর্কবার্তা পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে।স্যাটেলাইট প্রযুক্তির সাহায্যে আগুন লাগার প্রাথমিক মুহূর্তেই সতর্কবার্তা চলে যাবে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কাছে।
আরও পড়ুন: অজগর নিয়ে খেলা জঙ্গলের রাস্তায়,জোর প্রতিবাদ পরিবেশপ্রেমীদের
দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে জঙ্গল এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা যাবে বলেই মনে করছে বনদফতর। এই প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহারে জঙ্গল রক্ষা করা সহজ হবে এবং পরিবেশের ক্ষতিও অনেকাংশে কমবে এবং আগুনের গ্রাস থেকে অনেকটাই নিরাপদ থাকবে, এমনটাই আশা স্থানীয়দেরও।সুরজিৎ দে