ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার৷ কোচবিহার শহরে দু'টি বিরিয়ানির দোকান অবৈধ ভাবে চলছে বলে একটি দোকানে হানা দেন কোচবিহারের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ দোকান কেন বন্ধ করতে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন দোকানের মালিক৷ তা নিয়ে ওই মহিলা এবং তাঁর মেয়ের সঙ্গে রীতিমতো তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথবাবু৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য পুরপ্রধানের নির্দেশে দোকান বন্ধ করে দিতেই বাধ্য হন দোকান মালিক৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'পশ্চিমবঙ্গটা সেদিকেই যাচ্ছে', মারাত্মক অভিযোগ তুললেন দিলীপ ঘোষ! তুমুল আলোড়ন
কেন দোকান বন্ধ করতে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রবীন্দ্রনাথ বাবু বলেন, 'এই দোকানগুলির কোনও ট্রেড লাইসেন্স বা ফুড লাইসেন্স ছিল না৷ প্রায়শই এখানে বিহার, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্য থেকে বাইরের কিছু লোক এসে রাত পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া, মদ্যপান করত বলে অভিযোগ পাচ্ছিলাম৷ আজকে এসে দেখলাম রাস্তায় হাঁটার জায়গা দখল করে দোকান চলছে৷ তাই দোকান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি৷'
এর সঙ্গেই রবীন্দ্রনাথ বাবু যোগ করেন, 'আরও অভিযোগ ছিল, এই দোকানে যে সমস্ত মশলা ব্যবহার করা হচ্ছে তা খেয়ে নাকি পুরুষত্বহীনতার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷'
আরও পড়ুন: মিটল বাসিন্দাদের দীর্ঘ সমস্যা, নজির সৃষ্টি করে বুড়াধরলা নদীর ওপর 'মমতা সেতু'
বিরিয়ানির সঙ্গে পুরুষত্বহীনতার কী যোগ, তৃণমূল নেতার এই বক্তব্য ঘিরে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে যায়৷ কোচবিহারের পুরপ্রধানের এই বক্তব্য ভাইরালও হয়৷ যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, বিরিয়ানি থেকে এমন কোনও সমস্যা হতে পারে বলে এখনও তাঁদের গোচরে আসেনি৷ কলকাতার একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাহুল জৈন বলেন, 'বিরিয়ানি খেয়ে পুরুষত্বহীনতা বা প্রজননের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমন কথা কষ্মিনকালেও শুনিনি৷ বিরিয়ানিতে অতিরিক্ত মশলা ব্যবহার করলে তা থেকে গ্যাসের সমস্যা, বদহজম অথবা পেটের অন্য কোনও সমস্যা দেখা দিতে পারে৷'
ওই চিকিৎসকের আরও সংযোজন, 'মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে জাঁইফল, জয়িত্রির মতো মশলা বিরিয়ানিতে ব্যবহার করলে পটাশিয়াম বাড়তে পারে, কিডনিতেও প্রভাব পড়তে পারে৷ কিন্তু বিরিয়ানি খেয়ে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাবে, এমন তথ্য সামনে এলে তা নতুন কোনও গবেষণার বিষয় হতে পারে৷'
Avijit Chanda
Prabir Kundu