মঙ্গলবার ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বাবা ও মেয়ের দেহ। ঘটনাটি ধূপগুড়ি মহাকুমার অন্তর্গত উত্তর খট্টিমারি ঠ্যাঙকালী গ্রামের। মৃত বাবার নাম বাদল রায়। বয়স ৪১। দড়ির এক প্রান্তে ঝুলছিল বাদলের দেহ। অন্য প্রান্তে একই দড়িতে ঝুলছিল তাঁর ১৪ বছরের মেয়ে কেয়া রায়ের দেহ। সকালবেলা প্রতিবেশীরা প্রথম ঘরের ভিতরে তাকিয়ে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানানো হয় ডাউকুমারী ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ আধিকারিকরা। মৃতদেহ দু’টিমেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসক বাবা-মেয়েকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন- কয়েক পা হাঁটলেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? সিঁড়ি ভাঙতে কষ্ট? সাবধান…! কীসের উপসর্গ? জেনে নিন
এরপরে মৃতদেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয় ময়নতন্ত্রের জন্য জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, বাড়িতে কেবল বাদল আর তাঁর মেয়েই থাকতেন। বাদলের স্ত্রী অনেকদিন আগেই চলে গিয়েছেন ছেড়ে। বাদল পেশায় দিনমজুর ছিলেন। পরিবারের বাকি সদস্যরা পৃথক থাকেন। বাদলের ভাই সকালবেলা ধানখেতে কাজে চলে গিয়েছিলেন। প্রতিবেশীরা তাঁকে খবর দিলে তিনি এসে দেখেন।
আত্মহত্যা নাকি খুন! কোন রহস্য নেপথ্যে? তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানা এবং ডাউকিমারি ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিকরা। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।