ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হল বিজেপির। বছর ঘুরলে লোকসভা ভোট ৷ তার আগে নিজেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এলাকাতেই কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল গেরুয়া শিবির। কেন দলের এই বিপর্যয়? তার কারণ অনুসন্ধানে ইতিমধ্যেই হারের ময়না তদন্ত শুরু করেছে পদ্ম শিবির। প্রাথমিকভাবে সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছে পদ্ম নেতৃত্ব। ধূপগুড়ি। একুশে জিতেছিল বিজেপি। তেইশে সেই কেন্দ্র ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। জেতা আসনে বিজেপির হারে রীতিমত উদ্বেগ পদ্ম শিবিরে। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ধূপগুড়িতে জয়ী হন বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়। হারিয়ে দেন তৃণমূলের মিতালি রায়কে। উপনির্বাচনের মুখে সেই মিতালি রায় তৃণমূল শিবির থেকে যোগ দেন বিজেপিতে। বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুতে ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন। সেই উপ নির্বাচনেই এবার বিজেপিকে টেক্কা দিল তৃণমূল।
advertisement
আরও পড়ুন– লখনউয়ের নবাবি শাহি খানার স্বাদ এবার কলকাতায়; সৌজন্যে ‘অওয়াধ কামস টু কলকাতা’
বিজেপির তাপসী রায়কে ৪ হাজার ৩০৯ ভোটে হারালেন তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায়। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৪৬.২৮ % । বিজেপির ৪৪.২৩% । দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে বিজেপির জোর অনেক বেশি। এমনটাই মনে করেন পদ্ম নেতারা। উনিশের লোকসভা এবং একুশের বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের থেকে বেশি আসনে জেতে বিজেপি। যেখানে বিজেপির জোর, চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে, সেই উত্তরবঙ্গেই জোর ধাক্কা খেল পদ্ম শিবির। যা বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় ধাক্কা বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। বছর ঘুরলেই দিল্লির মসনদ দখলের লড়াই। সেই জায়গায় দলের এই বিপর্যয় প্রসঙ্গে বিজেপি নেতাদের সাফাই, ‘‘লোকসভার ভোটের সঙ্গে উপ নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। লোকসভায় আমরা এবার আরও ভাল ফল করব।’’
আরও পড়ুন– প্রায় এগারো বছর আগে মুখ থুবড়ে পড়েছিল কিংফিশার এয়ারলাইন্স; এর ব্যর্থতার কারণ জানেন কি?
দলের এই পরাজয় প্রসঙ্গে বিজেপির এ রাজ্যের প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ধূপগুড়ির জয়ী প্রাথীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমরা লড়াই করেছি। রাজ্যে সব সময় শাসক দলের পক্ষেই উপ নির্বাচনের ফল যায়। পোস্টাল ব্যালট প্রমান করল শাসক দলের সঙ্গে সরকারি কর্মচারীরা নেই। লোকসভায় ফের প্রমাণ হবে যে উত্তরবঙ্গের মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছেন।’’