Why Kingfisher Airlines Failed: প্রায় এগারো বছর আগে মুখ থুবড়ে পড়েছিল কিংফিশার এয়ারলাইন্স; এর ব্যর্থতার কারণ জানেন কি?
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Why Kingfisher Airlines Failed: কেন ব্যর্থতার মুখ দেখেছিল কিংফিশার এয়ারলাইন্স? আজ সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
একটা সময় ভারতের সবথেকে জনপ্রিয় বিমান সংস্থা ছিল কিংফিশার এয়ারলাইন্স। ধনকুবের বিজয় মাল্যর স্বপ্ন ছিল এই বিমান সংস্থাকে ঘিরে। কিন্তু ২০১২ সাল নাগাদ সেই স্বপ্নই যেন চুরমার হয়ে যায়। বিভিন্ন কারণে দেউলিয়া হয়ে যায় ওই বিমান সংস্থা। অথচ কিংফিশারের প্রতিদ্বন্দ্বী বিমান সংস্থাগুলি আজও বাজারে দিব্যি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু কেন ব্যর্থতার মুখ দেখেছিল কিংফিশার এয়ারলাইন্স? আজ সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
এয়ার ডেকান-এর অধিগ্রহণ: কিংফিশারের দেউলিয়া হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করা হয় এয়ার ডেকান-এর অধিগ্রহণকে। আসলে এয়ার ডেকান-এর সমস্ত বিমান এমনকী বাজার অধিগ্রহণ করে। তা সত্ত্বেও ক্ষতি ঠেকানো যায়নি। আবার সেই সময় এয়ার ডেকান বাজারে প্রতিষ্ঠিত ছিল। যার ফলে কিংফিশারের মনে হয়েছিল যে, ওই বিমান সংস্থাকে অধিগ্রহণ করা হলে নিজেদের আর্থিক অবস্থান মজবুত করা যাবে। কিংফিশারের সামনে এয়ার ডেকানের পাঁচ বছরের ডোমেস্টিক বিমান চালনার অভিজ্ঞতা খুবই কম ছিল। এটাও ব্যর্থতার একটা বড় কারণ।
advertisement
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ: এয়ার ডেকান অধিগ্রহণের পরে কিংফিশার এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে নিজের ছাপ রাখতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয় কিংফিশার। এদিকে এমিরেটস এবং এতিহাদের মতো বিমান সংস্থা আন্তর্জাতিক বাজারে দাপিয়ে বেড়ায়। সেই জায়গায় নিজের জায়গা তৈরি করা রীতিমতো কঠিন ছিল কিংফিশারের জন্য।
advertisement
ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ স্তরে স্থিতিশীলতার ঘাটতি: প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ স্তরে ধারাবাহিকতার অভাব কিংফিশারের ব্যর্থতার অন্যতম বড় কারণ। কিংফিশারের মালিক আগেই জানিয়েছিলেন যে, বিমান পরিবহণ ইন্ডাস্ট্রিতে নবাগত ছিল সংশ্লিষ্ট সংস্থা। এই সংস্থার দায়িত্বে ছিলেন সিইও। কিন্তু এক বছরের বেশি কোনও সিইও টিকতে পারেনি সংস্থায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিংফিশার যদি এয়ার ডেকানের সিইও গোপীনাথের মতো কোনও অভিজ্ঞ সিইও-কে পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদের জন্য নিয়োগ করত, তাহলে হয়তো ব্যর্থতা আসত না।
advertisement
জ্বালানির মূল্য ক্রমবর্ধমান: বিমানের জ্বালানির খরচ দিনে দিনে বাড়ছে। মূলত চাহিদা বৃদ্ধি এবং বিমান সংস্থার প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে জ্বালানি খরচের মূল্য কভার করা কিংফিশারের জন্য মুশকিল হয়ে যায়। জ্বালানির বিল পরিশোধ করতে না পারার কারণে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা ব্যাঙ্গালোর হাইকোর্টে এই বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।