রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রায় কয়েক হাজার রোগী। কিন্তু পাশের অনুষ্ঠানবাড়িতে সন্ধ্যা থেকেই ডিজে শুরু হয় এবং সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শব্দবাজির দাপট চলতে থাকে বলে অভিযোগ। অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও হাসপাতালের কর্মীরা। সবথেকে বড় অবাক করা বিষয়, হাসপাতাল চত্বরেই রয়েছে পুলিশ ক্যাম্প, কিন্তু তারাও চুপ।
advertisement
সঠিকভাবে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে নারাজ হাসপাতালের কর্মীরাও। অনেকেরই অভিযোগ কোনও অনুষ্ঠান, পুজো, পার্বণ বা উৎসব, কোনও অজুহাত পেলেই শুরু হয়ে যায় শব্দদানবের তান্ডব। বারংবার এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হলেও কোনো সুরাহা মেলেনি বলেই দাবি হাসপাতাল কর্মীদের।
আরও পড়ুন: SSC দুর্নীতিতে বিরাট মোড়! ২০১৬-তে চাকরি প্রাপকদের সকলকে নোটিস পাঠাতে নির্দেশ কোর্টের!
তবে, এদিন ঘটনাচক্রে রায়গঞ্জের পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস মেডিক্যালে এক রোগীকে দেখতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি প্রতিবাদ করলেও ফল মেলেনি বলেই সূত্রের খবর। পরবর্তীতে কিছু সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থলে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ বাহিনী পৌছে ওই শব্দ দানবদের দাপট বন্ধ করে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশদের তখনও ঘুম ভাঙেনি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: হাওড়া ঢুকছিল বাগনান লোকাল, আচমকা বিকট শব্দ! লাইনচ্যুত বগি ঘিরে তোলপাড়
এই ঘটনার জেরে স্বভাবতই এখন প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায় কীভাবে বাজানো হল ডিজে? সবটা দেখে, জেনেও কেন চুপ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশরা? শব্দ দানবের দাপট ঠেকাতে কেন কোনও পদক্ষেপ নিল না পুলিশ? তবে কি এই প্রথা চলবেই? আর লাগাতার রোগীদের অবস্থা হবে শোচনীয়? প্রশাসন কি কোনো পদক্ষেপ নেবেই না ? প্রশ্ন উঠছে, তবে উত্তর নেই।