প্রচলিত মত অনুযায়ী, এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দেবী চৌধুরানী এবং ভবানী পাঠক। সেই সময় বাঁশ এবং খড় দিয়ে তৈরি ছিল মন্দিরটি। পরে কোচবিহারের রাজা নৃপেন্দ্র নারায়ন রায়বাহাদুরের আমলে বর্তমান মন্দিরটির রূপ পায়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থা এই মন্দিরের। তবে স্থানীয়দের দাবি, শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দিরটির সংস্কার করে হেরিটেজ ঘোষনা করা হোক।
advertisement
আরও পড়ুন: উলের পোশাক ধোয়ার সময় এই ৭ ভুল করলেই সর্বনাশ! প্রিয় সোয়েটারের দফারফা
এই মন্দিরে পুজোর দিন ছাড়া বাকি সময় মন্দিরের বেদীতে থাকে না কোনও প্রতিমা। সারা বছর এলাকার মানুষ ওই বেদিকেই পুজো দেন। সারা বছর কেন কোনও মূর্তি থাকে না কিংবা পুজোর দিন প্রতিমা তৈরি করে সেই কেনই বা রাতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়, এর অবশ্য সঠিক উত্তর জানা যায়নি।
অনেকেই এই প্রাচীন মন্দিরের কথা জানেন না। যেতে চাইলে কীভাবে যাবেন ভাবছেন? জলপাইগুড়ি থেকে হলদিবাড়ি রোড ধরে ১৫ কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই বামনপাড়া। আর রয়েছে এই অবাক করা মন্দির। মন্দিরের গা ঘেঁষে একটা সময় বয়ে যেতো বুড়ি তিস্তা। সময়ের নিয়মে সেই নদী মন্দির চত্বর থেকে সরে গিয়েছে প্রায় এক কিলোমিটার।
স্থানীয়দের মধ্যে প্রচলিত মত অনুযায়ী, সেই আমলে দেবীচৌধুরানী এবং ভবানী পাঠক নৌকো নিয়ে তিস্তা নদী ধরে এই বুড়ি তিস্তার ওপর দিয়ে তদানিন্তন পুর্ববঙ্গে চলাচল করতেন। যাত্রাপথে এই মন্দিরেই পুজো দিতেন বলেও স্থানীয়দের বিশ্বাস। তবে, এই কাহিনীর কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। রাজা নৃপেন্দ্র নার্য়ন রায়বাহাদুর অতীতের সেই বাঁশ-খড়ের মন্দিরটি পাকা ভাবে তৈরি করে দেন বলেই জানা যায়। যদিও মন্দিরের গায়ে কোথাও নেই কোন স্থাপনের সাল কিংবা প্রতিষ্ঠাতার নাম।
সুরজিৎ দে