গত ১২ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীকে ভর্তি করা হয় শহরের একটি নার্সিংহোমে। ক্রমেই প্লেটলেট কমতে থাকে। গতকাল মৃত্যু হয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কিশোরী ট্যুইঙ্কেল ভার্মার। আজ মৃতের পরিবার এবং পাড়ার লোকেরা নার্সংহোমে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। রিসেপশনের পাশের রুমে বেপরোয়া ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। উপড়ে ফেলা হয় কম্পিউটার, টেবিল, চেয়ার। বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের অভিযোগ, ডেঙ্গির চিকিৎসা হয়েছে। অথচ ডেথ সার্টিফিকেটে এর উল্লেখ নেই। প্রশাসনিক চাপেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ লেখেনি বলে মনে করছেন তাঁরা।
advertisement
মৃতের কাকা রাজকুমার ভার্মা জানান, "নার্সিংহোমে প্রথম দিন থেকেই ডেঙ্গির চিকিৎসা হয়। কিন্তু মৃত্যুর কারণ হিসাবে তার উল্লেখ নেই। প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশেই এমনটা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলবে।" নার্সিংহোমের ম্যানেজার প্রণব সাহাও জানান, "ডেঙ্গির চিকিৎসা হয় মৃত কিশোরীর। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে। তবে ডেথ সার্টিফিকেটে কী লেখা হয়েছে তা একমাত্র চিকিৎসকেরাই বলতে পারবেন।" ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর অনীতা মাহাতও একই অভিযোগে সরব হয়েছেন। ডেঙ্গি নিয়ে পুরসভা উদাসীন বলে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও জেলা স্বাস্থ্য দফতর ডেঙ্গিতে মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! চার্জশিট জমা দিল ইডি
আরও পড়ুন: তাজপুর বন্দর পেল আদানি, সাংবাদিক বৈঠক থেকে জানালেন ফিরহাদ হাকিম
অন্যদিকে এদিনই ডেঙ্গি নিয়ে পুরসভাকে দায়ি করে বিক্ষোভে সামিল হয় বাম কাউন্সিলররা। পুরসভা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় তারা। সিপিএম কাউন্সিলর মুন্সী নুরুল ইসলাম বলেন, "যখন শহরজুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে তখন পুরসভা পুজো কার্ণিভাল নিয়ে ব্যস্ত৷ শহরবাসী আতঙ্কে রয়েছে। মে, জুন মাসেই শহরবাসীকে সতর্ক করার প্রয়োজনীয়তা ছিল। কিন্তু পুরসভা তা করেনি। প্রয়োজনে আমাদের ডাকলে সহযোগিতা করবো।" সবমিলিয়ে ডেঙ্গির দাপটে দিশেহারা শহর। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই মূহূর্তে ৫০০ ছুঁই ছুঁই। যদিও ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের দাবি, "পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। অবস্থার অবনতি হলে তা মোকাবিলায় তৈরি পুরসভা।"