TRENDING:

Darjeeling Tourism: 'রুম হবে?', 'গাড়ি পাব?' শীতের মনোরম পরিবেশে ভোল বদলাচ্ছে দার্জিলিং–কালিম্পং! পুজো মরশুমের খরা কাটছে পাহাড়ে

Last Updated:

বিকেলের কুয়াশা নেমে আসছে ধীরে ধীরে। পাহাড়ি হাওয়ায় শীতটা স্পষ্ট। যেন শীতের আগমনী বার্তাই দিচ্ছে দার্জিলিং–কালিম্পং।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দার্জিলিং, ঋত্বিক ভট্টাচার্য: বিকেলের কুয়াশা নেমে আসছে ধীরে ধীরে। পাহাড়ি হাওয়ায় শীতটা স্পষ্ট। যেন শীতের আগমনী বার্তাই দিচ্ছে দার্জিলিং–কালিম্পং। এ সময়টাতেই ঘরের বাইরে বেরোতে চায় বাঙালি, আর তাই ক্রিসমাস ও নিউ ইয়ারকে সামনে রেখেই পাহাড়ে যেন আবার নতুন করে জেগে উঠেছে পর্যটনের চাহিদা। শহরের ট্যুর অপারেটরদের দফতরগুলোতে একের পর এক ফোন—’রুম হবে?’, ‘গাড়ি পাব?’, ‘স্লট কি বাকি আছে?’—উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত পর্যটকরা।
advertisement

গত কয়েক সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে ধস–বন্যা যেন সবকিছু থামিয়ে দিয়েছিল। ভেঙে পড়েছিল পাহাড়ি রাস্তা, থমকে গিয়েছিল পর্যটন ব্যবসা। দুর্গাপুজো আর কালীপুজোর মরশুম প্রায় হাতছাড়া হয়েছিল দার্জিলিং–কালিম্পংয়ের। কিন্তু সময় বদলেছে। আবহাওয়া অনুকূলে ফিরতেই ছবি পাল্টে যাচ্ছে পাহাড়ি শহরগুলির। হোটেলগুলিতে বুকিং বাড়ছে, অফ-বিট এলাকাগুলোতেও ভিড় জমছে পর্যটকের।

আরও পড়ুন: স্কুলের সামনে ছাত্রীদের টোন-টিটকিরি! প্রতিবাদ করে আক্রান্ত প্রধান শিক্ষক, মালদহে তুলকালাম

advertisement

পাহাড়ের পথঘাট এখনও ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়ালেও আকাশ মাঝে মধ্যেই এতটাই পরিষ্কার থাকে যে শিলিগুড়ি শহর থেকেই দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। সূর্যোদয়ের ঠিক পর লাল–সোনালি আলোয় ঝলমলে শৃঙ্গ যেন নিজেই পর্যটকদের ডাক পাঠাচ্ছে দার্জিলিং–কালিম্পংয়ের দিকে। অনেকেই তাই মূল শহর ছেড়ে অফ-বিট লোকেশনে যেতে চাইছেন—ট্যাব্যাক্সি, লেপচাজগত, লামাহাটা, রঙ্গবুল… আরও কত জায়গা!

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

advertisement

হিমালিয়ান হসপিটালিটি ও ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, “ধসের পর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পর্যটকরা বুকিং শুরু করেছেন। এটা পাহাড়ের পক্ষে স্বস্তির খবর।” তাঁর কথায়, মানুষের আগ্রহ বাড়ছে বিশেষ করে বর্ডার ট্যুরিজমে—নাথু লা, জুলুক, ছাংগু, সান্দাকফুর মতো গন্তব্যে পর্যটকদের আকর্ষণ এখন বেশি।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
যশোর রোডে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি দাঁড় করিয়ে বারাসাত হাসপাতালের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
আরও দেখুন

তবে অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন নিয়ে প্রশ্নও রয়ে যাচ্ছে। সম্রাটবাবুর মতে, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমে এখনও অনেক ত্রুটি রয়ে গিয়েছে। নিরাপত্তা, অবকাঠামো, সংযুক্ত পরিষেবা—সব ক্ষেত্রেই উন্নতি জরুরি। তাই আপাতত পাহাড়ের বড় ভরসা সেই বর্ডার–ভিত্তিক পর্যটনই। ফের নতুন করে ব্যবসা গুছিয়ে নেওয়ার আশায় পাহাড়জুড়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ক্রিসমাস আর নিউ ইয়ার—এই দুই উৎসবই এবার পাহাড়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারে, এমনটাই আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট মহল। পাহাড়ে এবার শীতের সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসছে নতুন আশার আলোও।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Darjeeling Tourism: 'রুম হবে?', 'গাড়ি পাব?' শীতের মনোরম পরিবেশে ভোল বদলাচ্ছে দার্জিলিং–কালিম্পং! পুজো মরশুমের খরা কাটছে পাহাড়ে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল