একপাশে তাকালেই শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা, আর হাতে সুগন্ধি দার্জিলিং টি ৷ দার্জিলিং সফর আর গ্লেনারিজ ভিজিট ছাড়া পর্যটকদের ট্রিপটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত এবং পছন্দের শপ। ১১০ বছরের সেই ঐতিহ্যে আজ থেকে বন্ধ করা হল দার্জিলিং টি। যেখানে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা প্রতি টি পট বিক্রি হত। যার প্রেমে পর্যটকেরা ভিড় জমাতো। সেখানেই বন্ধ দার্জিলিং টি। কেন এই সিদ্ধান্ত? পাহাড়ের চা শ্রমিকদের পুজোর বোনাস নিয়ে বিতর্কের জেরেই এই সিদ্ধান্ত গ্লেনারিজ কর্তৃপক্ষের।
advertisement
আরও পড়ুন- মহালয়ার আগেই খুলছে ভাগ্য! পুজো কী নিয়ে আসছে- টাকা না প্রেম?
চা শ্রমিকদের এক কিস্তিতে ২০ শতাংশ বোনাস দিতে হবে। এই দাবিই তুলেছেন গ্লেনারিজের কর্ণধার তথা হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে শ্রম দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ঠিক হয়। সেই বৈঠকেই স্থির হয় দুই কিস্তিতে ২০ শতাংশ বোনাস পাবে পাহাড়ের চা শ্রমিকেরা। পুজোর আগে প্রথম কিস্তি। এবং দীপাবলির পর বাকি ৫ শতাংশ। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে শতাব্দী প্রাচীন গ্লেনারিজে বন্ধ দার্জিলিং টি।
মূলত চা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতেই এই সিদ্ধান্ত এডওয়ার্ডের। প্রসঙ্গত চা শ্রমিকদের বোনাস ইস্যুতে বিমল গুরুং, এডওয়ার্ড, সিপিআইএম-সহ পাহাড়ের ৭টি দলের শ্রমিক সংগঠন এই বোনাস চুক্তির প্রতিবাদে শামিল। লাগাতার আন্দোলনের পথে জয়েন্ট ফোরাম। আর গ্লেনারিজের এই সিদ্ধান্তে মন খারাপ পর্যটকদের। পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা আজ গ্লেনারিজে ঢুকতে ফেভারিট দার্জিলিং টি না মেলার খবরে বিষন্ন। তৃষ্ণা মেটাতে হাতে তুলে নিয়েছে ঠান্ডা পানীয়র বোতল। দ্রুত বোনাস নিয়ে জট কাটার পক্ষে সওয়াল করেছেন পর্যটকেরা। বিজিপিএম সভাপতি অনীত থাপা অবশ্য একে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘কোনও ব্যবসায়ী তাঁর দোকান বন্ধ করবে, না খুলবে তা নিয়ে মন্তব্য নয়। আমরাও ২০ শতাংশ বোনাসই চেয়েছিলাম। ’’