সম্প্রতি দার্জিলিংয়ের তুমলিংয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ভারত ও নেপালের পর্যটন আধিকারিকেরা একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এই সম্পূর্ণ ট্রেক রুটকে ‘ওয়েস্ট ফ্রি রুট’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য, দায়িত্বশীল পর্যটনের আওতায় সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে বর্জ্যহীন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটন চালু করা।
আরও পড়ুন – Bhasha Andolon: ছোটবেলায় ‘পেটের দায়ে’ রাজ্য ছেড়ে, আজ এই বাংলায় ৪১ বছর কাটিয়ে কেমন আছেন নারায়ণ রাউত
advertisement
ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জিটিএ পর্যটন দফতর এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ইকো-ট্যুরিজম চেয়ারম্যান রাজ বসু। নেপালের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন দেশটির পর্যটন দপ্তর এবং রুরাল হোমস্টে ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যরা।
রাজ বসু জানান, “এই রুটে ট্রেকিং মূলত ভারতের দিকে হলেও, থাকার ব্যবস্থা বেশি নেপালের হোমস্টেগুলিতেই। তাই দায়িত্বশীল পর্যটনের জন্য দুই দেশের যৌথ সমন্বয় একান্ত জরুরি। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রেক রুট ফের খুলে যাবে, তার আগেই সমস্ত পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি সেরে নিতে চাই আমরা।”
তুমলিং অঞ্চলের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর কেশারি গুরুং জানান, নেপালে ইতিমধ্যেই প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার জন্য কাঠমান্ডুতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে হ্যান্ডক্রাফট তৈরি করে আয়ের পথও খোলা হয়েছে।
নেপালের হোমস্টে ও রুরাল ট্যুরিজম দফতরের আধিকারিক মঞ্জিল দেবাং জানান, ‘‘সব হোমস্টেতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার নোটিশ পাঠানো হবে। পর্যটকদের জন্য ‘আই অ্যাম রেসপনসিবল টুরিস্ট’ নামে একটি ব্যাগ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে তারা ট্রেকিং চলাকালীন তাদের বর্জ্য ফেলতে পারবেন। পরে সেই ব্যাগ সংগ্রহ করে পুনর্ব্যবহার করা হবে।’’
এই উদ্যোগ সফল হলে সান্দাকফু রুট শুধু অ্যাডভেঞ্চারের জন্য নয়, পরিবেশ সচেতন দায়িত্বশীল পর্যটনের অন্যতম উদাহরণ হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।
Ritwik Bhattacharya