ক্রমেই বাড়তে থাকে ঘিসিং ও এডওয়ার্ডের মধ্যে দূরত্ব। দার্জিলিং ফেরার পথে রোহিণীতে ঘোষণা করেন নতুন দল গড়বেন। জিএনএলএফ ছাড়েন অজয়। তবে কোনো পদত্যাগপত্র পাঠাননি দলের সভাপতির কাছে। টানা চার মাস পাহাড়ের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়ান। মানুষের সমস্যার কথা শোনেন। ধসে বিদ্ধস্থদের পাশে দাঁড়ান। বাড়িয়ে দেন সহযোগিতার হাত। জিএনএলএফ ছাড়তেই পাহাড়জুড়ে দলে ভাঙতে থাকে। একে একে দল ছাড়েন এডওয়ার্ডের অনুগামীরা। গত ২৫ নভেম্বর মিরিকে নতুন দলের নাম ঘোষণা করেন অজয় এডয়ার্ড। পাহাড়ে পথ চলা শুরু হামরো পার্টির।
advertisement
সেদিনই তিনি ঘোষণা করেছিলেন পুরসভায় লড়বেন এককভাবে। সেইমতো ৩২ আসনেই প্রার্থী দেয় দল। এডওয়ার্ড নিজেও লড়েন ২২ নং ওয়ার্ড থেকে। কিন্তু ৫ ভোটে হেরেছেন তিনি। "আমি হেরেছিম তবু আমি খুশী। আমার দল জিতেছে। এই জয় দার্জিলিংবাসীর। অন্য কাউকে পদত্যাগ করিয়ে আমি উপ নির্বাচনে লড়বো না। লক্ষ্য দার্জিলিংকে বনধ ফ্রি করা। সুন্দরভাবে গড়ে তোলা পাহাড়ের রাণীকে। পাহাড়কে দূর্ণীতিমুক্ত করা। লক্ষ্য কালিম্পং, কার্শিয়ং, মিরিক পুরসভাও দখল করা।" সাফল্যের পর বললেন হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ড।"নির্বাচনে হার-জিত থাকেই। আমাদের পরিশ্রম দাম পায়নি। নতুন দলের প্রতি আস্থা দিয়েছে। এখন ওদের কাজ দেখবে পাহাড়। পাহাড়ের রাজনীতি এমনই। শুভেচ্ছা জয়ী দলকে।" বললেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং।"পাহাড়ের মানুষের রায়কে স্বাগত। হামরো পার্টিকে অভিনন্দন। ওদের সহযোগিতা করবো।" বললেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা।
আরও পড়ুন: যা আশা ছিল, আর নেই! কেন এমন কথা বললেন দিলীপ ঘোষ?
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা বিনয় তামাং বলেন, "গতবার ১টি আসন জিতেছিলাম। এবার ২ হয়েছে। হামরো পার্টিকে অভিনন্দন। পাহাড়ের উন্নয়নে ওদের সবরকম সহযোগিতা করবে রাজ্য।""পাহাড়ের মানুষ আমাদের জিতিয়েছে স্থায়ী সমস্যার সমাধানের জন্যে দিল্লির সঙ্গে কথা বলতে। আর পুরভোটে স্থানীয় নর্দমা, শৌচালয়, ডাস্টবিন, ঝোরার মতো সমস্যা মেটানোর জন্যে ভোট দিয়েছে। উপযুক্ত দলকে জিতিয়েছে। যারা এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে। নির্দলদের জিতিয়েছে। আর অজয় এডওয়ার্ড নিজেই হেরেছেন। ওর প্রতি সহানুভূতি রইলো। আমরা জিরো হয়েছি। ফের জিরো থেকেই হিরো হবো।"
আরও পড়ুন: 'ছেলে কই, ছেলে কই...' পুকুরের দিকে এগিয়ে গিয়ে হাড়হিম দৃশ্য দেখল বাবা-মা!
দলত্যাগী অজয় এডওয়ার্ডকে কটাক্ষ দার্জিলিংয়ের জিএনএলএফ সমর্থিত বিজেপির বিধায়ক নীরজ জিম্বা।"পাহাড়ের মানুষ বিভেদকামী শক্তি বিজেপি ও তার জোটসঙ্গী জিএনএলএফকে ওয়াশ আউট করেছে। ওদের প্রতি অনাস্থা এনেছে। এটা ভালো দিক। মুখ্যমন্ত্রী চান পাহাড়ে শান্তি ও উন্নয়ন। পাহাড়ের নির্বাচন নিয়েও কারোরই কোনো প্রশ্ন ছিল নাম হামরাও পার্টিকে সবরকম সহযোগিতা করবে রাজ্য।" বললেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।