বিরোধীদের একচোট সমালোচনা করে এদিন অনীত বলেন, “আমি তো আর গোর্খাল্যাণ্ড এনে দেব বলে ভোটে লড়িনি। আমি পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ভোট চেয়েছি। যাঁরা গোর্খাল্যাণ্ডের দাবিতে ভোট চেয়েছিলেন, তা আদায় করা তাঁদেরই দায়িত্ব। এটা নিয়ে ওঁরাই ভাবুক। দিল্লি যাক।”
আরও পড়ুন: দোলের আগে বড়সড় হামলার ছক, গরুমারা জাতীয় উদ্যানে জারি হাই অ্যালার্ট!
advertisement
তাঁর দাবি, পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান কি, তা বিরোধীরা নিজেরাই জানে না। তাঁর মতে, এই স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান হল পাহাড়ের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, বেকারদের চাকরির ব্যবস্থা, জমির পাট্টা বিলির মতো বিষয়। তিনি বলেন, ” আমরা সেই উন্নয়নের লক্ষ্যেই এগোচ্ছি। আর গোর্খাল্যাণ্ড রাজ্যের বিষয় নয়। কেন্দ্রের বিষয়। ওঁদের কাছে জিজ্ঞেস করুন। আমি রাজ্যের সঙ্গে সৌহার্দ্যতা বজায় রেখে কাজ করছি। রাজ্যের পাশে আছি”।
কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়-সহ অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে দার্জিলিঙে ফেরার আগে শুক্রবার এনজেপি স্টেশনে এভাবেই বিরোধীদের বেঁধেন জিটিএ-র চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা। তিনি বলেন, “পাহাড়ের ৮০ শতাংশ বাসিন্দা ভূমিহীন। তাঁদের হাতে শীঘ্রই জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি সফরে এলেই তা তুলে দেওয়া হবে। এবিষয়ে এখন থেকেই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: ৫০ টাকাতেই কোটিপতি! এই নোটটি আপনার কাছে আছে? থাকলে মুহূর্তেই মালামাল
প্রসঙ্গত, পাহাড়ের বিরোধীরা একসুরে অনীতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে। গত বৃহস্পতিবার হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড অভিযোগ করেন, জিটিএ পাহাড়বাসীর কোনও কাজে আসেনি। কোনও কাজই হচ্ছে না পাহাড়ে। অবিলম্বে জিটিএ ভেঙে দেওয়ার দাবি তোলেন তিনি। এডওয়ার্ড বলেন, “পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই। ২০০৯ থেকে পর পর তিন তিনজন সাংসদ উপহার দিয়েছে পাহাড়বাসী। এমনকি, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেও বিজেপির সংকল্প পত্রে এই ইস্যুটির উল্লেখ ছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত হয়নি। হাতে আর মাত্র ১২ মাস রয়েছে। দিল্লির উপরে চাপ বাড়াতে হবে। সাংসদ রাজু বিস্তার উপরে চাপ বাড়িয়ে লাভ নেই। কারণ, এটা দিল্লির বিষয়। তাই একযোগে দিল্লিমুখী আন্দোলন করতে হবে।”
দার্জিলিং খবর | Darjeeling News
এডওয়ার্ডের এই মন্তব্যের পরেই অনীত মন্তব্য, “আমি তো আর গোর্খাল্যাণ্ড এনে দেব বলে ভোটে লড়িনি। আমি পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ভোট চেয়েছি। যাঁরা গোর্খাল্যাণ্ডের দাবিতে ভোট চেয়েছিলেন, তা আদায় করা তাঁদেরই দায়িত্ব। এটা নিয়ে ওঁরাই ভাবুক। দিল্লি যাক।” তাঁর কথায়, “আইন মেনে জিটিএ গঠন করা হয়েছিল। কোনও স্বাক্ষরকারী যদি জিটিএ চুক্তি থেকে সই প্রত্যাহার করে নেয়, তার অর্থ জিটিএ ভেঙে পড়া নয়। রাষ্ট্রপতির সই আছে। বিরোধীরা ভুল বোঝাচ্ছে।”