আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, “আগামী দু’দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। যদিও তা মুষলধারে নয়। যাতে জমিতে জমে থাকা জল দ্রুত বের করে দেওয়া হয়, পাশাপাশি সবজির চারা যেন সাদা প্লাস্টিকের কভার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। বিশেষ করে আলু, লঙ্কা, বেগুন, টমেটো ও কপি চাষিদের এখনই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: পিছন থেকে পণ্যবাহী গাড়ির ধাক্কা মোটরবাইকে! তারপর যা ঘটল, দিশেহারা বাসিন্দারা
কৃষকদের দাবি অনুযায়ী, এই সময় মাঠে আমন ধান প্রায় পাকার মতো অবস্থায় পৌঁছেছে। এদিকে, ঝড়ো হাওয়া ও লাগাতার বৃষ্টিতে তা নেতিয়ে পড়েছে। ফলে মাঠে জল জমে শিষ পচে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জেলাজুড়ে প্রায় পৌনে দু’লক্ষ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। যার মধ্যে অন্তত ৩০ শতাংশ ফসল ক্ষতিগ্রস্ত। অন্যদিকে, হওয়ার দাপটে বিচ্ছিন্ন এলাকার শীতকালীন সবজি চাষের ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে অসময়ের এই ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কৃষি ক্ষেত্রে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে জেলা কৃষি দফতরের দাবি, বৃষ্টির জেরে সবজি চাষেও ক্ষতির প্রভাব পড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত। গরমের সবজি প্রায় শেষ, শীতের সবজি শুরু হয়েছে। আপাতত ক্ষতি সীমিত হলেও ভারী বৃষ্টি চললে ক্ষতি বাড়বে। বর্তমানে সর্বাধিক দুই থেকে তিন শতাংশ ধানখেত ক্ষতিগ্রস্ত। তবে টানা ভারী বৃষ্টি চললে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।





