জাতীয় সড়কের গা দিয়ে ছিল একাধিক প্রজাতির গাছ। ব্যক্তিগত জমিতেই ছিল গাছ। দিনের আলোয় একের পর এক গাছে কোপ! বেআইনিভাবে একের পর এক গাছে কোপ পড়লেও হুঁশ নেই প্রশাসনের! এই গাছ কেটে জমি ফাঁকা করে সেই জমিতে পাম্প তৈরির পরিকল্পনা। গ্ৰিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশিকা থাকা সত্বেও খড়িবাড়িতে ধরা পড়ল এই ছবি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মাদক কারবার রুখতে এককাট্টা! শহরে ‘ড্রাগ নির্মূল অভিযান’, পাশে দাঁড়িয়ে বড় আশ্বাস কাউন্সিলরের
খড়িবাড়ির বলাইঝোড়ার বুক চিরে চলে গিয়েছে শিলিগুড়ি-বিহারগামী ৩২৭ নং জাতীয় সড়ক। এই সড়কের পাশেই রয়েছে একাধিক ব্যক্তিগত জমি। জাতীয় সড়কের ধারে ও ব্যক্তিগত জমিতে সারিবদ্ধ একাধিক গাছ থাকলেও জমি ফাঁকা করতে নির্বিচারে চলল গাছ-নিধন, যা নিয়ে ক্ষোভ বিজ্ঞান মঞ্চের।
বিষয়টি প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। যত গাছ রোপন হচ্ছে তার থেকে বেশি কাটা হচ্ছে বলে মত বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যের। অন্যদিকে অভিযুক্ত জমির মালিক টেলিফোনে জানান, এই জমি পাম্পের জন্য লিজ দিয়েছি। তাঁরা অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানি না। তবে গাছ কাটার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ পিকআপ ভ্যান উল্টে যেতেই রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ল শয়ে শয়ে চোলাইয়ের প্যাকেট! তারপর যা হল…
অন্যদিকে গাছ কাটা অন্যায়। নিয়ম মেনে গাছ কাটার অনুমতি দেয় বন দফতর! এই গাছ কাটা নিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন রানিগঞ্জ পানিশালী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। অন্যদিকে ২০০৬ সালের Non Forestry Act-এ উল্লেখ রয়েছে, ৩ মাস গাছ কাটা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে। বন দফতর থেকে কোনও গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ফাইন ও গাছ বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন টুকরিয়াঝাড় বন দফতরের রেঞ্জার।