প্রথম ধাপে, চা বাগান থেকে সতেজ চা পাতা সংগ্রহ করা হয়। তারপর সেই পাতা বিশেষ মেশিনে প্রাথমিকভাবে শুকানো হয়, যাতে তার প্রাকৃতিক রস কিছুটা কমে যায়। এরপর শুরু হয় রোলিং প্রক্রিয়া, যেখানে চা পাতাকে ছোট ছোট অংশে কাটা হয়। এই পর্যায়ে চা পাতার আকার গঠনের জন্য বিশেষ মেশিনে ঘুরিয়ে গোল আকৃতি দেওয়া হয়। পরবর্তী ধাপে চা পাতাকে ছাঁকা হয়, যেখানে গুণমান অনুযায়ী বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হয়। সেরা মানের চা বাজারজাত করার আগে বিশেষজ্ঞ টেস্টাররা স্বাদ ও সুগন্ধ পরীক্ষা করেন। এরপর চা চলে যায় প্যাকেজিংয়ের জন্য, যেখান থেকে তা পৌঁছে যায় আমাদের চায়ের কাপে।
advertisement
আরও পড়ুন: তিস্তাই ভরসা! আর মাস দুয়েকের অপেক্ষা, ১৯ হাজার পরিবারে ফুটবে হাসি!
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় চা প্রস্তুতকারীরা জানান, তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চলের আবহাওয়া এবং মাটির গুণাগুণের জন্য এখানকার চায়ের স্বাদ ও সুবাস অনন্য। তারা আরও বলেন, সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চায়ের মান অটুট রাখাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। তাই, পরের বার যখন চায়ের কাপ হাতে নেবেন, একবার হলেও মনে উঁকি দেবে চা শ্রমিকদের যত্ন আর পরিশ্রমের কথা, যা এই চায়ের প্রতিটি ফোঁটায় মিশে থাকে। এই জন্যেই বিশ্বখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে এই উত্তরবঙ্গের চা-এর।
সুরজিৎ দে





