সকালে মানিকচকের মথুরাপুর পঞ্চায়েতের অধীন শংকরটোলা ঘাট এলাকায় কুমির দেখতে পান বলে দাবি স্থানীয়দের। নদীর পাড়ের দিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় কুমিরটিকে। আতঙ্কে নদী থেকে পালিয়ে যান স্থানীয়রা। এরপর থেকেই নদীতে স্নান ও অন্যান্য কাজকর্ম একরকম বন্ধ রয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন নদী পাড়ের মানুষজন। অবিলম্বে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণেরও দাবি উঠেছে।
উল্লেখ্য , এর মাসদুয়েক আগেই মানিকচকে কালিন্দ্রী নদীতে কুমির দেখতে পাওয়ার কথা জানান স্থানীয়রা। এরপর কুমিরের খোঁজে সুন্দরবন থেকে বনদপ্তরের বিশেষজ্ঞ দল আনা হয়। সেই সময় কমিরটিকে আর কালিন্দী নদীতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কয়েকদিন পরে পুরাতন মালদহ ও ইংরেজবাজারের মধ্যে মহানন্দা নদীতে ওই কুমিরটিকে দেখা যায়। সেই সময় সাধারণ মানুষের নদীতে নামার ওপর জারি হয় প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা।
advertisement
আরও পড়ুন : অমৃতলোকের পথে সারদা মঠের অধ্য়ক্ষা প্রবাজিকা ভক্তিপ্রাণা, ১০৩ বছরে জীবনাবসান
কুমিরটিকে পাকড়াও করতে পিছু ধাওয়া করে বনদপ্তর। কিন্তু , সেই সময়ও জলের গভীরে উধাও হয়ে যায় কুমির। শেষ পর্যন্ত কালিন্দী, মহানন্দা হয়ে হবিবপুরের পুনর্ভবা নদীতে বনদপ্তরের জালে ধরা পড়ে প্রায়়় দুই কুইন্টাল ওজনের ওই পূর্ণবয়স্ক কুমির। এরপর পুনর্বাসনের জন্য ওই কুমিরটিকে নিয়ে গিয়ে ফরাক্কার কাছে গঙ্গা নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : দুই বাংলার যুগলবন্দী! 'হাওয়া'-এর গানে বন্ধুত্বের সুর তুললেন অনির্বাণ-চঞ্চল
এরইমধ্যে ফের নদীতে কুমির দেখতে পাওয়ার খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। আপাতত ওই এলাকায় সত্যিই নদীতে কুমিরের অস্তিত্ব রয়েছে কীনা সে বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতেে চাইছে বনদপ্তর ও পুলিশ প্রশাসন। এরপরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ মন্ডল বলেন, "আচমকা নদীতে যাঁরা স্নান করছিলেন তাঁরা কুমির কুমির বলে দৌড়ে আসেন। আমরা প্রশাসনকে খবর দিয়েছি। আগে কখনও এই এলাকায়়় কুমির দেখা যায়নি। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক রয়েছে। আমরা চাই প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিক।"