জানা গিয়েছে, দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্কে বড় মোস্তাক। শুক্রবার সকালে দুই ভাই একসঙ্গে মদের আসরে যোগ দেয়। এরপর বাড়ি ফিরে প্রথমে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে বচসায় জড়ায় দাদা মোস্তাক। সেই সময় ভাই এগিয়ে এলে ভাইকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে মোস্তাক। সেই সময় মেজাজ হারিয়ে দাদাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সৎভাই।
advertisement
নীচ থেকে গুলি চালানোতে তা গিয়ে লাগে মোস্তাকের গলার নিচে। রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যান স্থানীয় হাসপাতালে। পড়ে তাঁকে নিয়ে আসা হয় মালদহ মেডিকেল কলেজে। গুলির ঘটনার পরে বেপাত্তা হয়ে যায় অভিযুক্ত ভাই গেনা শেখ। মদ্যপ অবস্থায় গুলির ঘটনা হলেও ঠিক কী কারণে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ বা শত্রুতা পরিবারের লোকজনও এনিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। কোথা থেকেে অভিযুক্ত যুবক বেআইনি অস্ত্র পেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে গোলাগুলির ঘটনা হয়েছে বাহারালের বিতর্কিত নেতা শেখ ইয়াসিনের দুই ভাইয়ের মধ্যে। শেখ ইয়াসিন এক সময় রতুয়ার তৃণমূলের দাপুটে নেতা ছিলেন নেতা ছিলেন। পরে কলকাতায় বিজেপি অফিসে বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর ফের মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফেরার দাবি করে শেখ ইয়াসিন। মিছিল করে মালদহে ফিরলেও তাঁকে দলে নেওয়া হয়নি বলে দাবি করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপর তাঁকে এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দেখা যায়নি। দুই ভাইয়ের মধ্যে গুলির এই ঘটনায় এলাকায় চাপা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্থানীয় কেউই এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।