সূত্রের খবর, একদা লাল দূর্গ হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়িতে ক্রমেই ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ছে সিপিআইএম। পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে। মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে কংগ্রেসের চেয়েও ফল খারাপ হয়েছে বামেদের। মূলত ক্ষমতাসীন নেতারা নিজেদের পছন্দের লোকেদের জেলা কমিটিতে জায়গা দেওয়ায় ক্ষোভ চরমে উঠেছে।
আরও পড়ুন: বাদল অধিবেশনের শুরুতেই অগ্নীবীরে প্রশ্নবাণ অভিষেকের, পাল্টা জবাব মোদি সরকারের
advertisement
ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন বহু কমরেড। তারপরও দলে কেন পর্যালোচনা হয়নি, সোমবার জেলা কমিটির বৈঠকে সেলিমের সামনেই এ নিয়ে সরব হন দলের ছাত্র, যুব এবং শ্রমিক নেতারা। নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দেন। দলের ভরাডুবির পরও কোনো আলোচনা, পর্যালোচনা, তাপ-উত্তাপ নেই। দল সাংগঠনিকভাবে ভেঙে পড়েছে দল কয়েকজন ক্ষমতাসীন নেতার জন্যে। যা শুনেই সেলিম ভর্ৎসনা করে জেলা কমিটির নেতৃত্বকে।
আরও পড়ুন: সঙ্গীত দুনিয়ায় ফের নক্ষত্র পতন, প্রয়াত গজলশিল্পী ভূপিন্দর সিং!
যারা দল ছেড়েছেন, তারা কেউই স্বার্থের জন্যে ছাড়েননি। তৃণমূল বা বিজেপি নয়, শরিক দলে যোগ দিয়েছেন। তারপরও জেলা কমিটি চুপ কেন? এদিন এই প্রশ্নগুলিই তোলেন একাধিক নেতা। এমনকী এরপরও দল পরিচালনায় ক্ষমতাসীন নেতারা একগুঁয়েমি থেকে না সরে এলে আগামীতে দল ছাড়ার হিড়িক পড়বে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দেন অনেকেই। দলের জেলা কমিটির বৈঠকে কেন রাজ্য সম্পাদক, ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্যেই কি তাঁর আগমন? উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
যদিও বৈঠক শেষে সেলিম জানান, এ নিয়ে কিছু বলার নেই। বিখ্যাত হওয়ার জন্যে কেউ কেউ দল ছেড়েছেন। কাল দলের সাধারণ সভা হবে। সেখানেও থাকবেন মহম্মদ সেলিম। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও গোটা সভায় নীরব ছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। বিদ্রোহী নেতাদের প্রশ্নের উত্তর দেন জেলা সম্পাদক সমন পাঠক, জীবেশ সরকাররা। তাতেও সন্তুষ্ট নন বিক্ষুব্ধরা। আগামীকাল, মঙ্গলবার দলের সাধারণ সভায় ফের ঝড় উঠতে পারে বলে খবর।