শিলিগুড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অশোক ভট্টাচার্যকে হারিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের আলম খান। এখনও পর্যন্ত শিলিগুড়িতে ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল, বামেরা পেয়েছে ১৮ শতাংশ ভোট, বিজেপি পেয়েছে ১৪ শতাংশ ভোট আর কংগ্রেসের খাতায় ১১ শতাংশ ভোট। ২০১৫ সালে তৃণমূলের প্রতাপের মাঝেও শিলিগুড়ি পুরনিগম ধরে রেখেছিল সিপিএম। ফলে এই পুরনিগমেরকে ঘিরে অনেক আশায় ছিল লাল শিবির।
advertisement
আরও পড়ুন: অশোক ভট্টাচার্যের বাড়ির এলাকা, পুরভোটে অসাধ্যসাধন করল তৃণমূল! যা ঘটল...
প্রসঙ্গত, গতকালই অশোক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘সব বুথে বামেদের পোলিং এজেন্ট বসেছেন। কোনও জায়গাতেই গোলমালের কোনও খবর নেই। সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছেন।’ শনিবারই ভোট দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিল অশোক ভট্টাচার্য। সম্প্রতি স্ত্রীকে হারিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘এর আগে কোনও দিন আমি একা ভোট দিতে যাইনি।’ শিলিগুড়ি পুরসভায় অশোক ভট্টাচার্যের মন্ত্রেই ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছিল সিপিএম। ২০১৫ সালেও শিলিগুড়িতে জয় পায় বামেরা। যার কারিগর ছিলেন খোদ অশোক ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: বাংলায় ৪ পুর নিগমের ফলাফল, কিন্তু আজই আরও বড় পরীক্ষায় নামছে তৃণমূল
এবারও তাই তাঁকে ঘিরে আশায় ছিল সিপিআইএম। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। নিজের ডেরায় হেরে গেলেন অশোক ভট্টাচার্য। যা বামেদের কাছে তীব্র আঘাত বলেই মনে করছে বামেরা। জয়ী হয়েছেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২০ নম্বরের তৃণমূল প্রার্থী অভয়া বোস। ১,৫৮০ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। জয়ী হয়েছেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী লক্ষ্মী পাল। ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪৯ ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী অমর আনন্দ দাস। ৩৫ বছরের কাউন্সিলার সিপিএম প্রার্থী মুকুল সেনগুপ্ত পরাজিত।