গত গরমের ছুটির পর পুজোর মরসুম এবং বড়দিনের ছুটিতে ভিড় উপচে পড়েছিল পাহাড় থেকে ডুয়ার্সে। কার্যত রুম পাওয়াই ছিল মুশকিল। সেখানে তৃতীয় ঢেউয়ে কাবু হয়ে পড়েছে এই শিল্প (Hill Tourism | Covid 19)। ফের বন্ধ পর্যটনকেন্দ্র। তবে খোলা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক। বেড়াতে এলেও ঘরবন্দী থাকতে হচ্ছে পর্যটকদের। কারণ, বন্ধ টাইগার হিল, বাতাসিয়া লুপ, চিড়িয়াখানা, মিরিক লেকে বোটিং, রোপওয়েও। আর তাই বেড়াতে এসে মন খারাপ পর্যটকদের। তার জেরেই একের পর এক আগাম বুকিং বাতিলের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। এতেই দুশ্চিন্তায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বুকিং বাতিল হলে যে পেটের খিদে বাড়বে। মেটাবে কে? প্রশ্ন তাঁদের।
advertisement
আরও পড়ুন: বরফে সাদা শ্রীনগর, তুষারশুভ্র ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট! দেখুন
অন্যদিকে, ৫০ শতাংশ পর্যটক দিয়ে খোলা হোক পর্যটনকেন্দ্র। তাহলে অন্তত কিছু সংখ্যক লোক বেড়াতে আসবেন। এবারে আবহাওয়াও বেশ মনোরম। ঘোরার পক্ষে যা আদর্শ। পর্যটন ব্যবসায়ী সংগঠন এতোয়ার সভাপতি দেবাশিস মৈত্রের প্রশ্ন, ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে যদি রেস্তোরাঁ, পানশালা, শপিং মল খোলা থাকে, তাহলে পর্যটনকেন্দ্র নয় কেন? এই দাবি জানিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠালো পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন EHTTOA (এতোয়া)।
আরও পড়ুন: সর্দি-কাশি-জ্বরে ভুগছেন? কী ভাবে বুঝবেন ওমিক্রন না সাধারণ ঠান্ডা লেগেছে? জানুন
শুক্রবার দার্জিলিংয়ে জেলাশাসকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল। পরে দার্জিলিংয়ের ম্যালেও প্ল্যাকার্ড হাতে দাবির পক্ষে সওয়াল করা হয়। একইভাবে কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের জেলাশাসকের হাতেও স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।