সমাজসেবী রানা দাস জানান, “দীর্ঘ সময় আগে একবার বন্যাত্রাণে কাপড় বিলি করতে গিয়ে তিনি দরিদ্র মানুষদের কষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন। তখন থেকেই তিনি মনস্থির করেন দরিদ্র মানুষের উপকারের জন্য বেশ কিছু কাজ তিনি করবেন। তবে পরিবার ও চাকরি সামলে কোনও সমাজসেবার কাজ করাও বেশ অনেকটা সময়সাপেক্ষ। তাই তিনি নিজের বুদ্ধি দিয়েই তৈরি করেই এই জায়গা। যেখানে চাইলে কেউ নিজের পুরনো তবে ভাল অথবা নতুন কেনা জামাকাপড় রেখে যেতে পারবেন। আর এখান থেকে দরিদ্র মানুষ নিজেদের প্রয়োজন মতো সেই কাপড় নিতে পারবে।”
advertisement
এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মী সেন জানান, “প্রায় এক বছর আগে থেকে এই জায়গাটি তৈরি করেন রানা দাস। উনি সবটা সময় থাকতে পারেন না। তবে জায়গাটি তাঁর নিজের বাড়ির সামনে হওয়ায় তিনি বেশিরভাগ সময় জায়গাটির খেয়াল রাখেন। এই জায়গাটির ফলে বহু মানুষের উপকার হয়। বহু মানুষ আসেন এখানে জামাকাপড় নিয়ে যেতে। আবার অনেকে ব্যাগ ভর্তি করে জামাকাপড় দিয়েও যান। সব মিলিয়ে এই জায়গাটি এখন বহু মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে। এই ধরনের প্রয়াস আরোও বহু মানুষের নেওয়া উচিত, এটাই প্রত্যাশা।”
বর্তমানে বহু মানুষ সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত। তবে অনেকেই প্রত্যক্ষভাবে সময় দিতে পারেন না সমাজ সেবার জন্য। তাঁরা চাইলেই এই ধরনের বিশেষ প্রয়াস গ্রহণ করতে পারেন। এতে যেমন একদিকে প্রত্যক্ষভাবে সময় দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তেমনই বহু মানুষের উপকারও করা সম্ভব খুব সহজেই। বিশেষ এই প্রয়াসের কারণে বর্তমান সময়ে জেলার এই রানা দাস বহু মানুষের প্রশংসা পাচ্ছেন।