গত ২৯ অগাস্ট জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নামাজি পাড়া এলাকার একটি খাল থেকে পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাহুত পাড়ার বাসিন্দা টোটো রিক্সা চালক সিতুল রায় (৫০) এর মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ২৭ অগাস্ট ভোর থেকে নিখোঁজ ছিলেন টোটো রিক্সা চালক সিতুল। তদন্তে উঠে আসে ভাড়া নিয়ে বচসার জেরেই এই খুনের ঘটনা। ভাড়া দিতে না পেরে টোটো চালককে খুন করে পালিয়ে যায় কোচবিহারের যুবক।
advertisement
তদন্ত শুরু করে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তদন্তে নিখোঁজ টোটো চালকের চুরি যাওয়া টোটো রিক্সা ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে হাওড়ার সাঁকরাইল থেকে খুনের মূল অভিযুক্ত কোচবিহারে যুবক জ্যোতির্ময় ও তার বিবাহিতা প্রেমিকা রত্না রাুকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। জলপাইগুড়ির পাঁচ নম্বর ঘুমটির বাসিন্দা রত্না রায়ের কোচবিহারের এই যুবক জ্যোতির্ময়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। মহিলার সঙ্গে দেখা করতেই ২৬ অগাস্ট রাতে জলপাইগুড়ি আসে কোচবিহারের চিলকির হাটের বাসিন্দা যুবক জ্যোতির্ময়। পর দিন ভোরে টোটো চালক সিতুল রায়ের টোটোয় ওঠে। ভাড়ার টাকা না থাকায় দু’জনের মধ্যে বিবাদ।
আরও পড়ুন: মশার বংশ নিমেষে হবে ধবংস! ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ গ্রামে, কাজ শুরু হতেই আহ্লাদে আটখানা বাসিন্দারা
এরপর মাথায় আঘাত করে অচৈতন্য সিতুল রায়ের দেহ খালে ফেলে টোটো নিয়ে পালিয়ে যায়। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে কোচবিহারে টোটো ফেলে জলপাইগুড়ি এসে প্রেমিকাকে নিয়ে হাওড়ার সাঁকরাইলে গিয়ে গা ঢাকা দেয়। তবে শেষ রক্ষা হল না।খুনিকে ধরিয়ে দিল মৃত টোটো চালকের মোবাইল। মৃতের মোবাইল ফোন অন করতেই লোকেশন ট্র্যাক করে সাকরাইলে গিয়ে অভিযুক্ত জ্যোতির্ময় ও তার প্রেমিকাকে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ি নিয়ে আসে পুলিশ।