উত্তরবঙ্গের প্রায় সমস্ত নদীতেই বিভিন্ন প্রকারের প্রচুর নদীর মাছের সম্ভার দেখতে পাওয়া যায়। এই সকল নদিয়ালী মাছের মধ্যে অন্যতম সুস্বাদু মাছ গুলি হল চাপিলা, কাজলি, বাতাসি এবং বরোলি। উত্তরবঙ্গের নদিয়ালী মাছগুলির শুধুমাত্র স্বাদই নয়, পুষ্টিগুণও রয়েছে অনেকখানি। বিভিন্ন প্রকার উপায়ের মাধ্যমে যেমন ঝাঁকি জাল, ফাঁসি জাল ইত্যাদি দিয়ে এই সকল নদীর মাছ গুলো সংগ্রহ করে থাকেন স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, "সারাবছরে নদীতে মাছ তেমন একটা পাওয়া যায় না। তবে বর্ষার মরশুম আসতেই নদী গুলিতে মাছের যোগান বাড়তে শুরু করে। তার ফলে আমরাও মুনাফার মুখ দেখতে পারি। চালানি মাছের চাইতে নদীর মাছের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ অনেক বেশি থাকে। তাই সাধারন মানুষ নদীর মাছ পেলে সেটাই আগে কিনতে চায়।"
advertisement
আরও পড়ুন - পশু খাদ্যের আড়ালে পাচার হচ্ছিল বিপুল মাদক! যার দাম শুনলে চমকে যাবেন
আরও পড়ুন - নীল চায়ে চুমুক দেবেন নাকি! 'ব্লু পিয়া টি'-তে মন মজেছে নতুন প্রজন্মের! জানুন
যদিও এখন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় নদীর মাছ কে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ের মাধ্যমে পুকুরে চাষ করা হচ্ছে। এবং কোচবিহার জেলার বিভিন্ন মাছের হ্যাচারিও এই উপায় অবলম্বল করেছে। তবে পুকুরের মাছের চাইতে নদীর মাছ অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। এই বিষয় নিয়ে বাজার করতে আসা একজন ক্রেতাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, "সারাবছর বাজারে তেমন একটা নদীর মাছের যোগান দেখতে পাওয়া যায় না। তবে বর্ষার সময় আসতেই বাজারের বিভিন্ন মৎস্য ব্যবসায়ী নদীর মাছ রাখতে শুরু করেন। আমরা এই সময়টারই অপেক্ষায় থাকি। কারণ, চালানি মাছের চাইতে নদীর মাছের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং তার স্বাদও হয় চালানি মাছের চাইতে অনেক গুণ বেশি। তাই আমরা এই সময় বাজারে মাছ কিনতে আসলে চেষ্টা করি যাতে আমরা নদীর মাছ কিনতে পারি।"
বর্ষার মৌসুমে উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতে মৎস্য বৃদ্ধি নিয়ে কোচবিহারের মৎস্য দফতরের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ড: অলোকনাথ প্রহরাজ জানান, "সারাবছরই মৎস্য দপ্তর থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদী গুলিতে প্রচুর মাছ ছাড়া হয়ে থাকে। তার ফলেই বর্ষার সময় প্রত্যেকটি নদীতে মাছের যোগান অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।"
সার্থক পন্ডিত