জেলালের পরিবারের অভিযোগ, গত শনিবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলে। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। রবিবার সকালে জেলালের বাড়ির লোকেরা খবর পান, তাঁকে মাথাভাঙা হাসপাতালে রেখে গিয়েছে কেউ। হাসপাতালে গেলে তাঁদের জানানো হয় জেলালের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির শরীরে পরানো ছিল বিএসএফ-এর পোশাক। এরপরই জেলালের বাড়ির লোকেরা অভিযোগ করতে শুরু করেন, বিএসএফ-এর লোকজন সন্দেহের বশে জেলাল মিঞাঁকে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
advertisement
এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। সোমবার সকালে মৃত কৃষকের বাড়ি যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, কোচবিহার জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন প্রমুখ। সেখানে বসেই বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ শানান উদয়ন। বলেন, "বিএসএফ-র বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হবে। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।" প্রয়োজনে বিএসএফ-এর জওয়ানদের মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আর ফ্রি নয়! এবার থেকে UPI পেমেন্টেও দিতে হবে বাড়তি টাকা, ১ এপ্রিল থেকে চালু নতুন নিয়ম
কোচবিহারের শীতলকুচিতে জেলাল মিঞাঁ নামে এক কৃষক শনিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এরপর রবিবার খবর পেয়ে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে যান তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের জানানো হয়, জেলাল মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা ঘিরেই উত্তেজনা ছড়ায়।
অপরদিকে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি বিধায়ক সুকুমার রায়ের পাল্টা মন্তব্য, "যারা চোরাচালান এর সঙ্গে জড়িত তাদের গায়ে লাগছে। সীমান্তে গরুপাচার, চোরাচালান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই তারা সীমান্তে গিয়ে এসব কথা বলছেন।"
SHUBHANKOR SAHA